নিজস্ব প্রতিবেদন : টানা কয়েক দিন ধরে টানা তাপপ্রবাহ চলার কারণে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বাসিন্দাদের দফারফা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের দফারফা ঠান্ডা করার পর এবার দফারফা ঠান্ডা হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) বাসিন্দাদেরও। কেননা এবার তাপপ্রবাহের (Heatwave) কোপ পড়ছে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায়।
আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই লাল, কমলা অথবা হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বিভিন্ন ধরনের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন যে আবহাওয়া থাকবে তার পরিপ্রেক্ষিতে কেবলমাত্র স্বস্তি থাকবে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায়।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতি থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা নিয়ে যখন রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে সেই সময় কোন স্বস্তির খবর দিতে পারল না হওয়া অফিস। বরং হাওয়া অফিসের তরফ থেকে শুধুই অস্বস্তি আর অস্বস্তির খবর দেওয়া হয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাপমাত্রা বেড়েই যাবে। একটু আধটু নয়, অনেকটাই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় এই তাপমাত্রার পারদ ১ থেকে ২ ডিগ্রী বাড়তে পারে বিভিন্ন জায়গায়। আর এরই সঙ্গে সঙ্গে তাল বজায় রেখে চলবে তাপপ্রবাহ।
আরও পড়ুন ? Sinking cities: ঘুম উড়ছে রাতের, নতুন সমস্যায় চীন! গৃহহীন হতে পারেন লক্ষ লক্ষ মানুষ
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার থেকে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টানা কয়েকদিন ৪২° থাকতে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার। সেখানে তাপমাত্রার পারদ ৪৮° পার করতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৩০ এপ্রিল ওই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৮.১ ডিগ্রি থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৪৫ ডিগ্রিতে। ২৯ এবং ৩০ এপ্রিল ওই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রী থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এমনটা যদি হয় তাহলে দক্ষিণবঙ্গের পানাগরকে ছাপিয়ে যাবে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া। এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি থেকে ঠিক কবে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়ে কোনরকম নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে কেবলই তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, বৃষ্টি নিয়ে কোনরকম আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।