Mid Day Meal Menu: ডাল-ভাত অতীত! নববর্ষে মিড ডে মিলের মেনুতে বদল! রাখতে হবে এই সকল সুস্বাদু খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদন : রবিবার বাংলা নতুন বছরের শুরু। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাঙালীদের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরার পাশাপাশি ঘরে ঘরে নানান ধরনের সুস্বাদু খাবার রান্না হয়ে থাকে। আর এই নববর্ষের কথা মাথায় রেখে যাতে স্কুল পড়ুয়ারাও সুস্বাদু খাবার তাদের মিড ডে মিলের মেনুতে (Mid Day Meal Menu) পায়, তার জন্য নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দপ্তর।

দেশের প্রত্যেক পড়ুয়ারা যাতে সঠিকভাবে খাবার পেয়ে থাকে তার জন্য রাজ্য সরকারগুলির সহযোগিতায় কেন্দ্র সরকার মিড ডে মিল (Mid Day Meal) ব্যবস্থা চালু করেছে। যদিও এই ব্যবস্থা এখন পিএম পোষণ নাম পেয়েছে। তবে এই ব্যবস্থার মূল লক্ষ্যই হল পড়ুয়াদের তাতে পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়া আর যাতে তারা খালি পেটে পড়াশুনো না করে।

রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে নববর্ষ উপলক্ষে মিড ডে মিল যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, নববর্ষের প্রথম দিন যেহেতু রবিবার পড়েছে তাই সোমবার থেকে স্কুলে স্কুলে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবারের মেনুতে বদল আনতে হবে। আগামী ১৫ এপ্রিল নির্ধারিত প্রতিদিনের মেনু ছাড়াও পড়ুয়াদের পাতে দিতে হবে বিশেষ সুস্বাদু পদ। প্রতিদিনের রুটিন মেনু ছাড়া ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নববর্ষ উপলক্ষে কি কি খাবার দেওয়া হবে মিড ডে মিলে?

আরও পড়ুন 👉 Kalighat Skywalk: শুধু মন্দিরের চূড়া সোনায় মোড়া নয়, এবার কালীঘাটে অপেক্ষা আরও এক আকর্ষণ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রতিদিনের রুটিন মেনু ছাড়া কি পদ আলাদা করে দিতে হবে তা সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে না দেওয়া হলেও বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সন্তানসহ ছাত্রদের মুখমিষ্টি করানো থেকে শুরু করে রকমারি খাবার দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষে এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার স্কুল পড়ুয়ারা কোথাও পাবে মাংস ভাত, কোথাও ফ্রায়েড রাইস, কোথাও ডিমের কষা, কোথাও পোলাও তো আবার কোথাও আলুর দম। এছাড়াও শেষ রাতে মিষ্টি বা পায়েস জাতীয় খাবার থাকবে।

নববর্ষ উপলক্ষে ১৫ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার মিড ডে মিলের মেনুতে বিশেষ পদ রাখার বিষয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাছে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। তারা যেন সেই মত রান্না করেন সেই দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এর জন্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে আলাদা করে কোন বরাদ্দ করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে। যারই পরিপ্রেক্ষিতে অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন বরাদ্দ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে।