Kohinoor Diamond : ভারতের অমূল্য রত্ন গুলির কথা উঠলেই উঠে আসে কোহিনুর হীরের নাম। ভারতের এই অমূল্য রত্নটি বহুকাল আগেই দেশছাড়া হয়েছে। বর্তমানে কোহিনুর হীরে রয়েছে বৃটেনের কুইন কনসর্টের হাতে। যদিও ভারতের এই অমূল্য রত্নটি দেশে ফেরানোর দাবি উঠেছে বারবার। আর এবার সেই কোহিনুর হীরে দেশে ফেরানোর তোরজোর শুরু হল। কোহিনুর দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি শুরু করল মোদি সরকার।
গোটা বিশ্বে কোহিনুরের থেকেও মূল্যবান এবং আকারে বড় মাপের হিরেও রয়েছে। তবুও কোহিনুর হীরে নিয়ে মানুষের আগ্রহ চিরকাল। এই হীরের চমকের কাছে যেন সমস্ত হীরের দ্যুতি ফিকে হয়ে যায়। ১১৮ ক্যারেটের এই উজ্জ্বল হীরের আসল মালিক ভারত। যদিও একাধিকবার হাত বদল হয়ে এই হীরে বর্তমানে রয়েছে ব্রিটেনের কাছে। তবে কোহিনুর দেশে ফেরানোর দাবি দীর্ঘদিনের। ব্রিটেনের রানী তৃতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে ভারত থেকে চুরি হয়েছিল দেশের এই অমূল্য রত্নটি। যদিও কোহিনুর কিভাবে চুরি হয়েছিল তা নিয়েও আগ্রহ কম নয়।, আবার কোহিনুর নিয়েও অনেক মত প্রচলিত রয়েছে। গোদাবরী অববাহিকায় কাকাটীয় বংশের রাজত্বকালে গোলকোণ্ডা খনিতে এটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল বলে লোকমুখে প্রচলিত।
আরও পড়ুন : ঠিক যেন ভারতীয় সংস্কৃতি, মোদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রীর
আবার ওডিশার শ্রী জগন্নাথ সেনা নামে এক সংগঠনের দাবি, কোহিনূর হীরের আসল মালিক পুরীর জগন্নাথদেব। পঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিৎ সিং পুরী শ্রী জগন্নাথ দেবকে কোহিনূর হিরে তুলে দেওয়ার আগেই ১৮৩৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। ১৮৪৯ সালে রঞ্জিৎ সিংয়ের ছেলে দলিপ সিংয়ে হাত থেকে ইংল্যান্ডের রানির হাতে চলে যায় হিরেটি। দলিপ সিং ব্রিটিশদের হাতে স্বেচ্ছায় কোহিনূর তুলে দেন বলেও অনেকে দাবি করেছেন। বর্তমানে এটির ঠিকানা টেমসের তীরে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের রত্নভাণ্ডার।
তবে এবার ভারতের মুল্যরত্ন টি দেশে ফেরানোর ধৈর্য শুরু করেছে দিল্লির মোদি সরকার। বিষয়টি নিয়ে সন্তোজনক কোনও সমাধান খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। সংসদেও বেশ কয়েকবছর আগে এই ইস্যুতে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, কোহিনূরকে ফিরিয়ে আনতে এবার জোরদার দাবি পেশ করতে চলেছে ভারত। সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়াদিল্লি এবং লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই হিরে ফেরানোর লক্ষ্যে তুমুল কূটনৈতিক তোড়জোড় শুরু হয়েছে।