নিজস্ব প্রতিবেদন : স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ভিখারি বলেই চিনতেন। কারণ তিনি ভিক্ষা করে দিন কাটাতেন এবং একটি কুঁড়ে ঘরে বসবাস করতেন। কারোর কোনদিন সন্দেহ হয় নি তার ওই কুঁড়েঘরেই থাকতে পারে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এমন ঘটনা সামনে আসে ওই ভিখারির মৃত্যুর পর।
ওই ভিখারির মৃত্যুর পর দেখা যায় তার বাড়ির ভিতরে যে ট্যাঙ্ক রয়েছে, তাতেই রয়েছে এই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এমন ঘটনা দেখে স্বাভাবিকভাবেই স্তম্ভিত হয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা এবং তারা টাকা গুনতে গুনতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এমনকি তার বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা টাকা কুড়াতেও ব্যস্ত লক্ষ্য করা যায় স্থানীয়দের। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে।
ওই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন কনিকা মহন্ত। এলাকায় ওই মহিলা ভিখারি এবং দুঃস্থ বলেই পরিচিত ছিলেন। দিন পাঁচেক আগে ওই মহিলার মৃত্যু হয় এবং তারপর আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা তার কুঁড়েঘর থেকে তিন ট্র্যাঙ্ক ভর্তি নগদ টাকা উদ্ধার করেন। সেই টাকায় এখন গোনার কাজ চালাচ্ছেন প্রতিবেশীরা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ওই মহিলা কুঁড়েঘরে থাকতেন তার বোন মনিকা দাস এবং বৃদ্ধ মাকে নিয়ে। কনিকার দাদা ইসলামপুরেরই অন্যত্র থাকতেন। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের পর স্থানীয় বাসিন্দারা এবং আত্মীয়-স্বজনরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ওই পরিমাণ টাকা মৃত কণিকার বৃদ্ধ মায়ের নামে ব্যাঙ্কে রাখা হবে এবং ওই টাকারই কিছু অংশ দিয়ে শেষকৃত্য করার কাজ করা হবে।
মৃত কণিকার দাদা জানিয়েছেন, ভিক্ষা করে জীবনযাপন করতেন বোন কনিকা। তবে তার মধ্যে থেকেই সে এইভাবে কষ্ট করে টাকা সঞ্চয় করেছে। এই টাকা কোন ভাল কাজে লাগানো হবে। আমি বা আমরা এই বিষয়ে আগে কিছু জানতাম না। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, জমানো ওই টাকার মধ্যে অনেক টাকা পুরাতন রয়েছে। প্রতিবেশীরা অনেকেই তা নিতে চাইছেন।
