Morari Bapu donated 11.3 crores to Ram temple despite not being an industrialist: সারাদেশ এখন মেতে রয়েছে রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে। আগামী ২২শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠা করা হবে শ্রীরামচন্দ্রের শৈশবরূপ রামলালাকে। গোটা দেশ এখন সেই শুভ মুহূর্তের অপেক্ষায় বসে রয়েছে। এই মন্দির নির্মাণে সবথেকে বড় দান দিয়েছেন কে? হঠাৎ করেই মাথায় আসবে দেশের শিল্পপতিদের নাম কিন্তু আদতেও তা নয়। আজকের প্রতিবেদনটি পড়লেই আপনি জানতে পারবেন সেই ব্যক্তির নাম।
শ্রীরামচন্দ্রের এই মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে যে সর্ববৃহৎ অর্থ প্রদান করেছে সে আসলে এক আধ্যাত্মিক গুরু। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট এর থেকে জানা যায় যে, সরযূ পাড়ের দেবালয় তৈরির জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহ করা হয়েছে। তালিকার একেবারে প্রথমে অবশ্য রয়েছেন মোরারি বাপু (Morari Bapu)। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ট্রাস্টের তরফ থেকে জানা গেছে, ট্রাস্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী মোরারি বাপু (Morari Bapu) নিজে অনুদান করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রায় ১১.৩ কোটি টাকা। তা বাদেও ৮ কোটি টাকা মিলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও কানাডায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তাঁর ভক্তদের থেকে। এই গুরুর ভক্তরা মূলত বিদেশ থেকে অর্থ অনুদান করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কে এই মোরারি বাপু?
গুজরাটের ভাবনগরে ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মোরারি বাপু (Morari Bapu)। নিজের পরিবারকে নিয়ে সেখানেই তিনি থাকেন। সূত্র মারফত জানা গেছে যে, মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি তুলসীদাস রচিত ‘রামচরিতমানস’-র হাজারের বেশি শ্লোক মুখস্থ করে ফেলেন। যখনই তার বয়স ১৪ বছর হয় তিনি বিভিন্ন জায়গায় রাম কথা আবৃত্তি করতেন। আস্তে আস্তে অধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর। মোরারি আসলে বৈষ্ণব বাবা সাধু নিম্বার্ক বংশের সন্তান এবং পরবর্তীকালে নানা জায়গায় রামচরিতমানস ও রামায়ণের নানা গল্প তিনি শোনাতেন। শ্লোকের সুন্দর ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তাড়াতাড়ি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক মোরারির প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর মুখে রাম কথা শুনতে এসেছিলেন।
মোরারি বাপু (Morari Bapu) ছিলেন এই মন্দির নির্মাণের সবথেকে বড় একজন সমর্থক তাই তিনি দান করেছেন মুক্তহস্তে (Donation for Ram Mandir) । দেশে এবং দেশের বাইরে রামায়ণের মাহাত্ম্য প্রচার করে আজ তিনি বিখ্যাত। নিজেকে তিনি বলেছেন সামান্য একজন ফকির। আগামী 22 জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এছাড়া মন্দিরের দ্বারোঘাটন পর্বে ছ’হাজারের বেশি অতিথি অভ্যাগত উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো রাম মন্দির উদ্বোধন হবার আগেই সংস্কার হওয়ায় অযোধ্যার রেল স্টেশন ও মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো জানুয়ারি থেকে রাম জন্মভূমি পর্যন্ত চালু হয়েছে উড়ান পরিষেবা।