Azimganj Nashipur Rail Bridge: আরও সহজে যাওয়া যাবে উত্তরবঙ্গ, এই রেল সেতু চালু হতেই খুশিতে ডগমগ পর্যটকরা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা সবসময় উন্নত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। কারণ দেশে যে সকল পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন টুরিস্ট স্পট। প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক দক্ষিণবঙ্গ থেকে ছুটে যান উত্তরবঙ্গের দিকে। এবার সেই সকল পর্যটকদের কাছে খুশির খবর হিসাবে হাজির একটি রেল সেতু (Rail Bridge)।

Advertisements

যে রয়েছে রেল সেতুর কথা বলা হচ্ছে, সেই রেল সেতুটি দীর্ঘ ৮৫ বছরের অপেক্ষার পর পুরোপুরি ভাবে চালু হতে চলেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই রেল সেতু ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। তারপর থেকে তা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন সময় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও জমিজট সহ অন্যান্য কারণে বারবার কাজে এসেছে ঢিলেমি। অবশেষে এই রেল সেতুটি তৈরি হওয়ায় খুশিতে ডগমগ পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীরা।

Advertisements

আমরা যে রেল সেতুর কথা বলছি সেই রেল সেতুটি হল মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ নশিপুর রেল সেতু (Azimganj Nashipur Rail Bridge)। এই রেলসেতু তৈরি হওয়ার পর ট্রায়াল রান হিসেবে একটি মাল গাড়ি চালানো হয়। খুব তাড়াতাড়ি আজিমগঞ্জ নশিপুর রেল সেতুর উপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন ছুটবে বলেই জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে। এই রেল সেতুটি পুরোপুরি ভাবে চালু হলেই কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ির দূরত্ব কমবে অন্ততপক্ষে ২১ কিলোমিটার।

Advertisements

আরও পড়ুন ? North Bengal New Tourism: অনেক হল দার্জিলিং, কালিম্পং! এবার জলের দরে খুলে গেল উত্তরবঙ্গে পর্যটনের নতুন ঠিকানা

বর্তমানে হাওড়া থেকে আজিমগঞ্জ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন যেতে হলে ৫৬৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আজিমগঞ্জ হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য ৫৭৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। আবার হাওড়া থেকে বোলপুর হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে হলে ৫৭৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। তবে আজিমগঞ্জ নশিপুর রেল সেতু চালু হলে শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ভায়া আজিমগঞ্জ পাড়ি দিতে হবে ৫৫৩ কিলোমিটার।

আজিমগঞ্জ-নশিপুর রেল সেতু তৈরির জন্য ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। বরাদ্দ করা হয়েছিল ৪৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। ২০১০ সালেই এই সেতু তৈরি হওয়ার কথা থাকলেও জমিজটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে তার পরেও হাল ছাড়েনি রেল। দফায় দফায় জমিদাতাদের সঙ্গে কথা বলে শেষমেষ রফা সূত্র বের করে এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়।

Advertisements