নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৫ সালে দফায় দফায় ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছিল নেপাল। যে ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮৯৬৪ জন। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে ছিল ২২ হাজার। সেদিনের সেই স্মৃতি এখনো কেউ ভুলতে পারেননি। আর সেই স্মৃতি ভুলতে না পারার মধ্যেই গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ফের একবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপলো নেপাল (Nepal)। নেপালের এই ভূমিকম্পে এখন হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
শুক্রবার মধ্যরাতে যে ভূমিকম্প হয় তার উৎসস্থল ছিল নেপাল। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে এই কম্পন নেপাল ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় দিল্লি, কলকাতা, বিহার সহ বিভিন্ন জায়গায়। এছাড়াও কম্পন অনুভূত হয় উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ সহ ভারতবর্ষের একাংশে। দিল্লির কোন কোন জায়গায় কম্পন বেশ জোরালো অনুভূত হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
নেপালে শুক্রবার রাত ১১টা ৩২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে ভূমিকম্প হয় বলে জানা গিয়েছে ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফ থেকে। যে জায়গায় এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল সেটি কাঠমান্ডু থেকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ৩৩১ কিলোমিটার দূরে। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎস স্থল। এই উৎস স্থল ভারত সীমান্ত থেকে সামান্য দূরে হওয়ার কারণে কম্পন ভারতের বিভিন্ন জায়গায় জোরালো অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের উৎস স্থল ভারতের উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগঢ়ের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে ২০৮ কিমি, জোশীমঠের দক্ষিণ-পূর্বে ৩১৭ কিমি, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের উত্তর ও উত্তর-পূর্বে ২৫৩ কিমি এবং উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার উত্তরে ২২৭ কিমি দূরে। তবে এই ভূমিকম্পে ভারতের কোন এলাকা থেকে এখনো পর্যন্ত তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর না মিললেও নেপালে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর আসছে।
১২৮ জনের প্রাণহানির খবরের পাশাপাশি শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি যা তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। নেপালের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বারবার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হতে দেখা গিয়েছে। ঠিক এক মাস আগেও অর্থাৎ অক্টোবর মাসেও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। তবে সেবার কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি সেইভাবে।