Longest Sea Bridge: ২০ মিনিটে মুম্বই থেকে নাভি মুম্বই! কামাল করবে সমুদ্রের উপর ১৬ কিমি এই সেতু

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

The Mumbai Trans Harbor Link is now India’s longest bridge: ভারত সরকার সর্বদাই যোগাযোগ স্থাপন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক প্রকল্প (Longest Sea Bridge)। মুম্বই ও নাভি মুম্বইয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে ওই সেতু। অবাক হবেন জানলে মাত্র ২০ মিনিটে পৌঁছে যেতে পারবেন মুম্বই থেকে নাভি মুম্বই। পাশাপাশি মুম্বই-গোয়া হাইওয়ে, মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে সাধারণ মানুষের।

Advertisements

মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক প্রকল্পের মূল অংশ হল একটি ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু (Longest Sea Bridge)। এই সেতুটি আরব সাগরের বুকের ওপর দিয়ে তৈরি হবে। সেতুটি মুম্বই শহরের উত্তর প্রান্তে আয়রলি থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ প্রান্তে আলিবাগে গিয়ে শেষ হবে। সেতুটিতে থাকবে চার লেনের রাস্তা এবং দুটি ট্রেন লাইন। মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কমিশনার ড. সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় প্রকল্পটির কাজ দেখে খুবই খুশি। তিনি আশা করেছেন খুব শীঘ্রই হয়তো এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।

Advertisements

সেতুটি নির্মাণের জন্য বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সমুদ্রের গভীরতা। সেতুটি (Longest Sea Bridge) যেখানে নির্মিত হবে সেখানে সমুদ্রের গভীরতা প্রায় ১৫০ মিটার। এছাড়াও, সেতুটিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস এবং ঝড়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন কমিশনার। যেমন টোল সংগ্রহ হবে অটোমেটিক সিস্টেমে, থাকবে ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমও। আসলে গভীর সমুদ্রের ওপর দিয়ে যাবে তাই সেতুতে থাকা লাইট পোস্টগুলি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। যে কোনও ধরনের আবহাওয়াতে যেন নষ্ট না হয়, এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে ওই পোস্ট।

Advertisements

মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক প্রকল্পটি (Longest Sea Bridge) ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মুম্বই শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এছাড়াও, প্রকল্পটি মুম্বই শহরের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।ভারতের জিডিপি-র ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়বে। সেই কারণে সেতুকে গেম চেঞ্জার হিসাবেই উল্লেখ করা হয়েছে।

সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আগামী ১০০ বছর পর্যন্ত সেতুটির কোন রকম ক্ষতি হবে না। জাপানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতুতে। এছাড়া ১৮ হাজার কোটির এই প্রজেক্টের বেশিরভাগটাই দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সি।

Advertisements