নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতবর্ষে যে সকল তীর্থক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো পুরি (Puri)। এখানকার জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) টানে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। যে কারণে প্রতিনিয়ত এই মন্দির নিয়ে আলোচনা দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তবে এসবের মধ্যেই এবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হদিস পাওয়া একটি রহস্যময় সুড়ঙ্গ জগন্নাথ মন্দিরকে আলোচনায় এনেছে, যে সুড়ঙ্গকে ঘিরে দানা বাঁধতে শুরু করেছে নানান রহস্য।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রহস্যময় যে সুড়ঙ্গের হদিশ পাওয়া গিয়েছে সেটি রয়েছে শ্রীক্ষেত্র পঞ্চতীর্থ থেকে প্রাচীন ইন্দ্রদ্যুম্ন মন্দির পর্যন্ত। মনে করা হচ্ছে এই সুড়ঙ্গটি অন্ততপক্ষে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার লম্বা। হদিশ পাওয়া এই সুড়ঙ্গ নিয়ে এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই সুড়ঙ্গের আসল সত্য উদঘাটনের। প্রশ্ন হল এই সুড়ঙ্গ এখানে এলো কিভাবে?
সুড়ঙ্গকে নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। উঠে আসছে নানান প্রাচীন মিথ। কেউ কেউ দাবি করছেন, বহু বছর আগে জগন্নাথ দেব মন্দির চত্বরে একটি পুষ্করিণী ছিল। কিন্তু তা পরে শুকিয়ে যায় এবং সেই শুকিয়ে যাওয়া পুষ্করিণী এমন সুড়ঙ্গের আকার ধারণ করে। তবে এই দাবি ছাড়াও আরও যে সকল দাবি উঠে আসছে তার মধ্যে ড্রেনের প্রসঙ্গ তুলেছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন ? Jagannath Temple Puri: কাছেই রয়েছে সমুদ্র! তবুও জগন্নাথ মন্দিরে শোনা যায় না গর্জন! কিন্তু কেন
বুদ্ধিজীবীদের একাংশ মনে করছেন, আগে জগন্নাথ ধামের বিভিন্ন পুকুরের জল অপসারণের জন্য একটি ড্রেন ছিল। যে ড্রেনটি মুসা নদী পর্যন্ত যুক্ত ছিল। এখন যে সুড়ঙ্গটির হদিশ পাওয়া গিয়েছে সেটি ওই ড্রেনেরই অংশ। যারা ওই সুড়ঙ্গকে ড্রেনের অংশ বলে দাবি করছেন তাদের তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, আগে ওই ড্রেনের মাধ্যমেই আশেপাশে থাকা জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হতো।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রাচীনকালে জগন্নাথ মন্দির থেকে গঙ্গা মাতার মঠে যাওয়ার জন্য একটি সুড়ঙ্গ ছিল। এই সকল বিভিন্ন দাবি-দাওয়া থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, সঠিক তথ্য যেন উদঘাটন করা হয়। সম্প্রতি হদিশ পাওয়া সুড়ঙ্গ সত্যিই কোন ড্রেনের অংশ, না ওটি আগে কোন পুষ্করিণী ছিল বা সত্যিই জগন্নাথ মন্দির থেকে গঙ্গা মাতার মঠ যাওয়ার সুড়ঙ্গ রাস্তা ছিল কিনা তা উদঘাটন করা হোক।