নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এযাবৎ ৬% DA পেতেন। সম্প্রতি ডিসেম্বর মাসে এইসব সরকারি কর্মচারীদের মুখ তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) আরও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১০ শতাংশ। তবে এই ডিএ কেন্দ্র সরকার এবং দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের থেকে ৩৬ শতাংশ কম। যা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভের শেষ নেই।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে প্রাপ্য ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে নানান ধরনের ক্ষোভ। এমনকি তারা তাদের প্রাপ্য ডিএ আদায় করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন। আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময় ডিএ আদায়ের জন্য একের পর এক মামলা গড়াচ্ছে আদালতে। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট কোন জায়গা বাকি নেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ডিএ নিয়ে মামলা হতে। কখনো রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মামলা আবার কখনো তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের আবেদন। গত কয়েক মাস ধরে এমনই ঘটনা দেখছে রাজ্য।
তবে এসবের মধ্যেই এবার নবান্নের তরফ থেকে ডিএ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হল। যে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল সব দিক খতিয়ে দেখে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ দেওয়া নিয়ে দাবি করেছিলেন, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া কেন্দ্র সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক কিন্তু রাজ্য সরকারের জন্য তা ঐচ্ছিক। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আইন জানেন না।
আরও পড়ুন ? DA Hike: ফের বাড়বে DA, বাড়বে HRA! নতুন বছরের শুরুতেই ব্যাপক বেতন বৃদ্ধির জল্পনা সরকারি কর্মচারীদের
দীর্ঘদিন ধরে ডিএ থেকে বঞ্চিত থাকার পর যখন আন্দোলনকারীরা তাদের আন্দোলন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর করছেন সেই সময় ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিটে বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন। বৃদ্ধির ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে মান্যতা দিতে তা কার্যকর করার জন্য নবান্নের তরফ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নতুন হার ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে লাগু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী।
অন্যদিকে নবান্নের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি কর্মচারী, সরকার অনুমোদিত শিক্ষাঙ্গনের কর্মচারী, স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধীনস্থ পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত কর্মী, পুরনিগম, পুরসভা, স্থানীয় বোর্ড এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের পেনশন প্রাপকরা এই সুবিধা পাবেন।