Advertisements

৬ লক্ষ চাষীর মুখে হাসি, রাজ্য সরকারের নয়া পদক্ষেপে খুশির হাওয়া

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : কৃষি নির্ভর দেশ ভারতবর্ষ, কিছু নির্ভর রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। যে কারণে প্রতিটি সরকারের তরফ থেকেই দেশ এবং রাজ্যের কৃষকদের (Farmer) জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের বন্দোবস্ত করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রকল্প ছাড়াও চাষীদের বিভিন্ন মরসুমের কথা মাথায় রেখে ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্তও করা হয়। ঠিক সেই রকমই এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এমন এক পদক্ষেপ নেওয়া হলো যাতে ৬ লক্ষ চাষের মুখে হাসি ফুটতে চলেছে।

Advertisements

গত কয়েক বছর ধরেই পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার যে পরিস্থিতি বা খামখেয়ালিপনা চলছে তাতে বিপুলভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষীরা। ঠিক সেই রকমই এবার খরিফ মরশুমে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষী ভাইয়েরা। বৃষ্টির খামতিতে রাজ্যজুড়ে চাষের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু জেলার চাষীদের অবস্থা খুবই সংকটজনক হয়ে পড়ে।

Advertisements

বৃষ্টি কম হওয়ায় চাষের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন মুর্শিদাবাদ, মালদহ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান জেলার লক্ষ লক্ষ চাষী। এই পরিস্থিতিতে এই সকল চাষীদের মুখে হাসি ফোটাতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার চাষিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। এই বিপুলসংখ্যক চাষীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ৩৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে রাজ্য সরকার।

Advertisements

শুধু এবার খরিফ শস্য মরশুম নয়, এর আগেও শেষ রবিশস্য মরশুমেও বিপুল-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন চাষিরা। তাদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। সে সময় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ছিল ৪২৫ কোটি টাকা এবং তা পেয়েছিলেন ৯ লক্ষ ৪৪ হাজার কৃষক। সব মিলিয়ে চলতি বছর ১৫ লক্ষ ২৪ হাজার কৃষক ৭৭০ কোটি টাকা পাচ্ছেন।

এই সমস্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে বাংলা শস্য বিমা যোজনার মাধ্যমে। ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যের চাষীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার পরিপ্রেক্ষিতে চাষীদের প্রিমিয়াম স্বরূপ ১ টাকাও দিতে হয় না। এই প্রকল্পের আওতায় প্রিমিয়ামের টাকা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার।

Advertisements