Fort William: কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম সম্পর্কে প্রায় সকলেই জানে, এমনকি ইতিহাসেও এই সম্পর্কে সকলেই পড়েছে। এটি ভারতীয় সৈন্য বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তর। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক একটি দুর্গের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর নাম যে পরিবর্তন করা হয়েছে সেটা কি আদৌ কেউ জানে? হঠাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের কেন ফোর্ট উইলিয়ামের নাম পরিবর্তন করতে গেল? ব্রিটিশ আমলের চিহ্ন মুছে দিয়ে রাখা হলো নতুন নাম। প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো ওই দুর্গের নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘বিজয় দুর্গ’। কেনো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? এর পিছনের আসল কারণ কি?
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো পর্যন্ত নতুন নাম ঘোষণা করা হয়নি তবে নাম বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গেছিল গত ডিসেম্বর মাসেই। ফোর্ট উইলিয়াম (Fort William) বর্তমানে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের সদর দফতর। সেই কারণেই কি নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের প্রতিবেদনটি পড়লে।
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক উইং কম্যান্ডার হিমাংশু তিওয়ারি একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে উল্লেখ করেন যে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নাম পরিবর্তনের এই নির্দেশ আসে। সরকারিভাবে বিষয়টি এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি, তবে প্রশাসনিক কাজকর্মে ফোর্ট উইলিয়ামকে (Fort William) বিজয় দুর্গ হিসাবেই উল্লেখ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবারো বড়সড় পরিবর্তন আধার নিয়মে, গ্রাহকদের সুবিধার্থে কি নয়া নিয়ম আনল কেন্দ্র?
ফোর্ট উইলিয়াম (Fort William) দুর্গটি তৈরি করা হয়েছিল ১৬৯৬ সালে। এই দুর্গটি তৈরি করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। আর এর নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটেনের তৎকালীন রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামে। ইতিহাসের পাতা উল্টালে আপনারা জানতে পারবেন যে এই দুর্গ আক্রমণ করেছিলেন সিরাজ-উদ-দৌলা। এই কারণে এই দুর্গটির বিস্তর ক্ষতি হয়েছিল। পরে আবার ১৭৮১ সালে লর্ড ক্লাইভ দুর্গটি পুনর্নির্মাণ করেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, উপনিবেশিকতার ছাপ মুছতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে বদলে ফেলা হবে ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William) সাউথ গেট এবং কিচেনার হাউসের নামও। পাশাপাশি সাউথ গেটের নাম রাখা হয়েছে ‘শিবাজী গেট’। এতদিন এর নাম ছিল সেন্ট জর্জ গেট। আর কিচেনার হাউসের নাম রাখা হয়েছে ‘মানেকশ হাউস’। ব্রিটিশ শাসনের অবসান বহু বছর আগে হয়েছে, সেই স্মৃতির মুছে ফেলতেই হয়তো এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।