Name of Trinamool-CPI dropped from NCERT Syllabus: এনসিইআরটির বইগুলোতে (NCERT Syllabus) এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। দশম শ্রেণীর সোশ্যাল সাইন্স এর সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএর কথা। তার পরিবর্তে নতুন সংযোজন করা হয়েছে এনপিপি এবং আপের বিষয়বস্তু নিয়ে। এর কারণ, হিসেবে এনসিআরটির তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেস আর সিপিআই, এই পার্টি গুলি বর্তমানে তাদের তৎকালীন পরিচিতি বজায় রাখতে পারছে না তাই নাকি এই বিষয়গুলিকে সিলেবাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্টোদিকে আবার দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইতে (NCERT Syllabus) যুক্ত করা হয়েছে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের কাহিনী। এছাড়াও কাশ্মীরে যে অংশটি পাকিস্তান দ্বারা অধিকৃত করা রয়েছে সেই অংশটিকে এতদিন “আজাদ কাশ্মীর” বলে পরিচিত করা হতো। বর্তমান সিলেবাসে সেই অংশটিকে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। নতুন এই সিলেবাস পাঠের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা আদতে কতটা উপকৃত হবেন তা আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে বাদ পড়েছে, ২০০২ এর গুজরাটের দাঙ্গা, বাবরি মসজিদ, হিন্দুত্বের লড়াই এমনকি সংখ্যালঘুদের কথাও। এনসিইআরটির বইগুলি পড়ানো হয় কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত স্কুল বা সিবিএসসি বোর্ডের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে। ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্গত মোট 30 হাজার স্কুল সিবিএসসি বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ, সিলেবাসের এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে ৩০ হাজার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর।
দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ের (NCERT Syllabus) একটি অধ্যায়ে অযোধ্যা ধ্বংসের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। সেখানে একটি অংশে রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে রামের জন্মভূমি আন্দোলন এবং অযোধ্যা ধ্বংসের কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। সেই জায়গাটিকে বদলে রামের জন্ম ভূমি আন্দোলনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই একই অধ্যায় থেকে বাবরি মসজিদ ও হিন্দুত্বের লড়াইকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০০২ সালে গুজরাটে যে দাঙ্গা হয়েছিল তার বিবরণ সম্পূর্ণ রূপে মুছে দেওয়া হয়েছে বর্তমান পাঠ্যপুস্তক (NCERT Syllabus) গুলি থেকে। এছাড়াও সম্পূর্ণ পাঠ্যপুস্তকে যেসব জায়গায় মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা ছিল সেই জায়গাগুলিতেও আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সিলেবাস অনুযায়ী বর্তমান দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তক গুলিতে এত পরিবর্তন করা হয়েছে, যা খুব সহজেই চোখে পড়ার মতন। সিলেবাস পরিবর্তনের পেছনে রাজনীতির ভূমিকা কতটা তা নিয়েও চর্চায় মুখর সারা দেশবাসী। নতুন সিলেবাসটি ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে ২ কদম এগিয়ে নিয়ে যায় নাকি পিছন দিকে টেনে নিয়ে যায়, সেটাই দেখার।