নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় হয়ে যায় মূলত একটি ভিডিওকে ঘিরে। যে ভিডিওটিতে দেখা যায় এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। এমনকি তারা ওই ব্যক্তির শারীরিক অসুস্থতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দার্জিলিং ঘুরতে গিয়েছিলেন। যখন তিনি হার্ট অ্যাটাক হয়ে বিছানায় পড়েছিলেন সেই সময় দুজন দার্জিলিং ঘুরতে যান।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড় মূলত রেশন দুর্নীতি (Ration Corruption) কাণ্ডে। এরই মধ্যে নারী যোগ বিষয়টিকে যেন আগুনে ঘি আহুতি দেওয়ার মতোই করে তোলে। রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় চারদিকে। শুরু হয় বালুর জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া। তবে এই ঘটনায় বালুকে নিয়ে যতনা কৌতুহল বাড়ছে তার থেকে বেশি কৌতুহল বাড়তে শুরু করেছে তার সঙ্গে নাম জড়ানো ওই মহিলাকে নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যিনি এমন অভিযোগ করেছিলেন তিনি হলেন বিধান নগর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Nandini Bandyopadhyay) স্বামী জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Joybrata Bandopadhyay)। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার স্ত্রী নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর টিকিট পেয়ে কাউন্সিলর হন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।
আরও পড়ুন ? বালুরও বান্ধবী যোগ! পরের বউকে নিয়ে দার্জিলিংয়ে ফুর্তি! সামনে এলো নতুন নতুন কীর্তি
এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জন্য মুড়ি মাখিয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে নানান কাজ করতেন। ফোনে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতো বকবকানি। এছাড়াও তার বাড়িতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আসা যাওয়ার কোনো সময় জ্ঞান ছিল না। পরে আবার তিনি নাকি ফ্ল্যাটও কিনেছেন। এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলেছেন ওই ব্যক্তি। যে সকল অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল রাজ্য রাজনীতি।
এই ঘটনায় প্রথম দিকে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিকে ব্যক্তিগত বলে উড়িয়ে দিলেও পরে জানা যায়, তার স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি আগেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছেন। আর এখন যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি দাবী করেছেন ‘একজন মহিলাকে অপমান করা হয়েছে’। অন্যদিকে বালুর সঙ্গে তার সম্পর্কের সাফাই দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সব ভুলভাল। তারা দুজনে জেলায় একসঙ্গে রাজনীতি করছেন।