নন্দীগ্রামে ক্লিন বোল্ড হয়েছেন মমতা, চার দফায় কত আসন জানালেন মোদি

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বাংলার বিধানসভা নির্বাচন মূলত তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথ প্রতিদ্বন্দ্বীতা। তবে এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা দ্বৈরথ হলেও ভালো রকম প্রভাব ফেলতে দেখা যাচ্ছে সংযুক্ত মোর্চাকে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের চার দফা ভোটগ্রহণ হয়ে গেছে। আর এই ভোটগ্রহণ শেষে প্রত্যেক মানুষের কাছেই কৌতুহল কোন দল কত আসন পাবে? এনিয়ে বর্ধমানে সভা করতে এসে মুখ খুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার দাবি চার দফা নির্বাচনেই সেঞ্চুরি করে ফেলেছে বিজেপি। পাশাপাশি তার কতাক্ষ, দিদি হারছেন এমনটা বুঝেই হতাশায় ভুগছেন। তিক্ত কথাবার্তা বলছেন।

সভায় বক্তব্য রাখার সময় মোদি বলেন, “চাল ও মিহিদানা বর্ধমানের দুটি জিনিস প্রসিদ্ধ। দিদি কি বর্ধমানের মিহিদানা পছন্দ করেন না? তাহলে ওর এত তিক্ততা এলো কোথায় থেকে? আসলে দিদি হতাশায় ভুগছেন। সবে চারদফা নির্বাচন হয়েছে আর এতেই আপনারা তৃণমূলকে সাফ করে দিয়েছেন। এই চার দফাতে বাংলার জনগণ এত চার ছক্কা হাঁকিয়েছেন যে সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। আপনাদের সঙ্গে যারা খেলা করার কথা বলেছিলেন তাদের সঙ্গেই খেলা হয়ে গেছে। আপনারাই বলুন দিদি রাগ করাটাই তো স্বাভাবিক।”

পাশাপাশি এদিন জনসভা থেকে মোদি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাড়ছেন এমনটাও দাবি করেন। তার দাবি, “নন্দীগ্রামের মানুষ দিদিকে ক্লিন বোল্ড করে দিয়েছেন। বাংলায় দিদির ইনিংস শেষ। দিদির বড় পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছেন বাংলার লোকেরা। বাংলার মানুষ বুদ্ধিমান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। দলের অধিনায়কত্ব ভাইপোকে দিতে চেয়েছিলেন দিদি। দিদির এই খেলা সময় থাকতে ধরে ফেলেছে জনতা। দিদির গোটা টিমকে ময়দান ছাড়া করছে বাংলার জনতা।”

এর পাশাপাশি এদিন এই জনসভা থেকে বাম কংগ্রেসের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “দিদি এটাও জানেন, কংগ্রেস ক্ষমতা হারানোর পর আর ফেরেনি। বামেরাও ফেরেনি। দিদি আপনিও গেলে আর ফিরতে পারবেন না। দিদি ও দিদির ঘনিষ্ঠদের কথাবার্তাই বলে দিচ্ছে বড় হারের মুখ দেখতে চলেছে তৃণমূল।”

[aaroporuntag]
যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই সকল দাবি দেওয়াকে প্রপাগণ্ডা বলে বারবার দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের রাজনৈতিক কুশলী প্রশান্ত কিশোর দাবি করেছেন, ‘অমিত শাহ এবং বিজেপি এর আগেও এমন আসন পাওয়ার কথা বলেছিল দিল্লি, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড সহ একাধিক রাজ্যের ক্ষেত্রে। কিন্তু কোথাও তা বাস্তব হয়নি। বিজেপি বাংলায় একশর বেশি আসন পাবেন না।’