Planet K2-18B: থাকতে পারেন ভিনগ্রহীরা! মিলতে পারে প্রাণ! সুদূরের এই গ্রহ আশা জোগাচ্ছে নাসাকে

NASA has announced the possibility of life on planet K2-18b: পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধানের ক্ষেত্রে কে২-১৮ বি (Planet K2-18B) একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ। পৃথিবী থেকে প্রায় ১২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত কে২-১৮ বি গ্রহে মহাসাগর ও হাইড্রোজেন ভর্তি বায়ুমণ্ডল থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ কথা জানা গেছে, নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে গবেষণার দ্বারা। ২০১৫ সালে এই গ্রহটি আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং ২০২৩ সালে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্রহ সম্পর্কে আরও তথ্য জানা গিয়েছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে কে২-১৮ বি গ্রহে মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো কার্বন-সহ কণা রয়েছে। এই কণাগুলি পৃথিবীতে কেবল প্রাণী বা উদ্ভিদ থেকেই তৈরি হয়। ফলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে কে২-১৮ বি গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গ্রহের উপরে প্রচুর পরিমাণে জল থাকতে পারে। পৃথিবীর চেয়ে ৮.৬ গুণ বড় এই গ্রহটি লিয়ো নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থান করে। কে২-১৮ (Planet K2-18B) নক্ষত্রের কাছে অবস্থিত এই গ্রহ ‘এক্সোপ্ল্যানেট’ শ্রেণির। এমন কোন গ্রহের সন্ধান সৌরজগতে পাওয়া যায় না। আয়তনে এগুলি পৃথিবীর সমান বা তার চেয়ে বড় ও নেপচুনের সমান বা তার চেয়ে ছোট।

এই গ্রহটি (Planet K2-18B) তার নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। এর অর্থ হল এই গ্রহের উপরে প্রচুর পরিমাণে রশ্মি পড়ে। এই রশ্মি প্রাণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই গ্রহটি তার নক্ষত্রের খুব কাছে ঘোরে। এর অর্থ হল এই গ্রহের উপরে প্রচুর পরিমাণে চাপ ও তাপ থাকে। এই চাপ ও তাপ প্রাণের জন্য সহনীয় হতে পারে না।

এই গ্রহের (Planet K2-18B) বায়ুমণ্ডলে থাকে প্রচুর পরিমাণ মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড, কিন্তু অ্যামোনিয়া কম থাকায় সেখানে মহাসাগর থাকার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করে ডাইমিথাইল সালফাইড নামে একটি কণার সন্ধান পেয়েছে। পৃথিবীতে কেবল প্রাণী বা উদ্ভিদ থেকেই এটি জন্ম নেয়। মূলত সাগরে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটম নামক এককোষী জীব থেকে এই কণা জন্ম নেয়।

গবেষণাপত্রের মূল লেখক কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোর্তিবিদ নিক্কু মধুসূদনের মতে, পৃথিবীর বাইরে বিভিন্ন পরিবেশে প্রাণের সন্ধান পাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা গবেষণা থেকেই জানা যায়। এখনও পর্যন্ত কে২-১৮ বি গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে এই গ্রহটি প্রাণের জন্য অনুকূল পরিবেশের অধিকারী বলে মনে করা হয়। ভবিষ্যতে আরও গবেষণা করে এই গ্রহ সম্পর্কে আরও তথ্য জানা গেলে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।