According to the National Education Policy, the examination of class 10th and 12th will be conducted twice a year: আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল জাতীয় শিক্ষা নীতি। জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) মাধ্যমে দেশের পড়ুয়াদের শিক্ষিত করার পাশাপাশি চাপমুক্ত করার কৌশলকেও অবলম্বন করতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কারণেই শিক্ষা জীবনের বড় দুই পরীক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এর উপর শিক্ষার্থীদের ভীতি কাটাতে ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে বছরে দুই বার করে বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতি (National Education Policy) অনুসারে বছরে দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই প্রস্তাব অনুসারে বছরে দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা করানোর কথা ভাবা হচ্ছে। পড়ুয়াদের উপর থেকে পড়াশোনার চাপ কমাতেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। জানা গেছে বছরে দু বার বোর্ড পরীক্ষার মধ্যে যে পরীক্ষায় পড়ুয়ারা বেশি নম্বর পাবে সেটিকেই তার প্রাপ্ত নম্বর হিসাবে ধরা হবে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বছরে দুই বার পরীক্ষা দেওয়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। নতুন এই পদ্ধতি অনুসারে কোনো পড়ুয়া যদি মনে করে সে পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি আছে এবং প্রথম পরীক্ষায় সম্পূর্ণ পরিশ্রম করে সে যে পরিমাণ নম্বর পেয়েছে সেটাই সঠিক, তবে সে নিজের ইচ্ছাতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় নাও বসতে পারে।
আরও পড়ুন ? Higher Secondary Exam 2025: পিছিয়ে যাবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, সামনে এলো পরের বছরের পরীক্ষার সূচি
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানিয়েছেন। নতুন এর নিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন “গত বছরের আগস্ট মাসে শিক্ষা মন্ত্রকের দ্বারা ঘোষিত নিউ কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসারে, শিক্ষার্থীদের ভালো করার জন্য পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগ নিশ্চিত করতেই বছরে অন্তত দু’বার বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে”।
শুধু তাই নয়, বছরে দুবার মোট পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তিনি আরো বলেছেন “পড়ুয়ারা যাতে এটা না ভাবেন যে তাদের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে, তার জন্যেই দু’বার বোর্ড পরীক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে। এতে পড়ুয়াদের কাছে সুযোগও বাড়বে। একটা পরীক্ষা খারাপ হলেও পরের পরীক্ষায় তা শুধরে নিতে পারবেন তাঁরা”।