NBSTC Employees Salary: উত্তরবঙ্গ রাজ্য পরিবহন কর্পোরেশন বা NBSTC তার অস্থায়ী কর্মীদের জন্য বেতন বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে, ২৯৩ জন কর্মচারী এপ্রিল থেকে শুরু করে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ১,০০০ টাকা পাবেন৷ কিন্তু এই বেতন বৃদ্ধির খবরের মধ্যেই উঠেছে এক চরম অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের কর্মীদের বা এনবিএসটিসি প্রতিমাসের প্রথমেই সমস্ত কর্মচারীদের বেতন দিয়ে দেয়, সেখানে কর্মচারীরা নভেম্বরের বেতন (NBSTC Employee Salary) এখনো পর্যন্ত পায়নি। শুধুমাত্র কর্মপ্রাপ্ত কর্মচারীরা নয়, পেনশনভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী যাওয়া এখনো পর্যন্ত বেতন পাননি।
বর্তমানে চড়া দামের বাজারে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে স্বল্প বেতনের কর্মচারীদের। সেখানে যদি মাসের প্রথমে বেতন না দেওয়া হয় তবে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয় এই সমস্ত সাধারণ মানুষদের। নিগমের রায়গঞ্জ ও মালদহ ডিপো থেকে উঠে আসলো অন্য এক অভিযোগ যে সমস্ত কর্মচারীরা চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করছিলেন তাদের বেতন ২০০০ টাকা করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে বর্তমানে সকলেই ১৩০০০ টাকা করে বেতন পায়। বর্তমান বাজারে সংসার চালানোর যথেষ্ট কষ্টকর। তার উপরে বেতন পেতে দেরী সবাই তাদের রীতিমতো মাথায় হাত!
বালুরঘাট, কোচবিহার, মালদহ, নিগমের রায়গঞ্জ ডিপো থেকে বেশ কিছু করবে না অভিযোগ করেছেন যে, তারা পেনশন পাচ্ছেন না। কোন বছরেই এরকম সমস্যার মুখে পড়তে হয় নি তাদের। কিন্তু আজ ডিসেম্বরের ৮ তারিখ হওয়া সত্ত্বেও তাদের হাতে মেলেনি বেতন (NBSTC Employees Salary), এমনকি পেনশনের টাকা। তৃণমূল পন্থী কর্মী সংগঠনের নেতারা বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। নিগমের চালক ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রণব বসাক যদিও আশা দিয়েছেন যে আগামী দু তিন দিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হবে। সকলে তাদের বেতন এবং পেনশনের টাকা হাতে পাবেন। তবে এখনো পর্যন্ত সেই সমস্যার কোন সমাধান পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে যে, প্রতি মাসে নিগম থেকে কর্মীদের যে বেতন বা পেনশন দেওয়া হয় তার ৯০% বেতন (NBSTC Employees Salary) আসে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। আর বাকি ১০% নিগম নিজের পক্ষ থেকে বরাদ্দ করে। এই মাসের বেতন তাদের পক্ষ থেকে যে ১০% বেতন ধার্য করা হয়েছে তা ইতিমধ্যে বরাদ্দ করা হয়ে গেছে। বাকি আছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৯০ শতাংশ বেতন আসে সেটি।
সিআইটিইউ এর এমপ্লয়িজ় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য স্মরজিৎ বল অভিযোগ করেন যে, একটা গোটা মাসের খাওয়া-দাওয়া, সংসার খরচ, পড়াশুনা সমস্ত কিছু চালাতে হয় এই কটা টাকার মধ্য দিয়ে। দিন দিন যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে তাতে এই টাকাতে সংসার চালানোটাই কষ্টকর হয়ে উঠছে। তার ওপর যতই মাস করলে মাইনা না পাওয়া যায় তবে তো আর দেখতেই হবে না। আবার পেনশনের টাকা না পেলে পেনশনভোগী কর্মচারীদেরও মাস চালানো অসম্ভব হয়ে উঠছে।