স্কুটারের চেপে ঘুরতেন, পীযুষের বাড়িতে এত সম্পত্তি শুনেই অবাক প্রতিবেশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : তিনি এখন দেশের সবচেয়ে আলোচ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। এই তিনি হলেন কানপুরের সুগন্ধি ব্যবসায়ী পীযূষ জৈন। যার বাড়িতে ডিজিজিআই অভিযানে বের হয়েছে হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি। এই ঘটনা সামনে আসার পরই অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন কেমন রাজকীয় ভাবে কাটতো পীযূষ বাবুর জীবন?

কানপুরের ওই ব্যবসায়ী হাজার কোটি টাকার মালিক হলেও তাকে দেখে ঘুনাক্ষরেও টের পাননি তার প্রতিবেশীরা। এমনভাবে ওই ব্যবসায়ী ঘুরে বেড়াতেন যা প্রতিবেশীদের প্রত্যেককেই অবাক করেছে। ওই ব্যবসায়ী বাড়িতে এত এত কোটি টাকার সম্পদ লুকিয়ে রাখা সত্ত্বেও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মত গাড়িতেও ঘুরতেন না। তিনি ঘুরে বেড়াতেন একটি স্কুটারে।

স্কুটারের ঘুরে বেড়ানো এই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি পেয়েছেন ডিজিজিআই আধিকারিকরা এমনটা শুনে প্রতিবেশীরা অবাক হওয়ার পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীকে তারা মুখচোরা ছিলেন বলেই জানিয়েছেন। প্রতিবেশীরা এটাও জানিয়েছেন, গাড়ি তো দূরের কথা, কোন বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গেলেও তিনি চপ্পল পরে কাজ চালিয়ে নিতেন। দামি জামা কাপড় পরার কোনো বালাই ছিল না তার। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ব্যক্তির বাড়িতে এমন সম্পত্তির হদিসের খবরে হতবাক তারা।

এমনকি প্রথম থেকে তার বাড়িও খুব একটা রাজকীয় ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে। পীযূষ জৈন ১৫ বছর আগে ছিপাট্টি এলাকায় দুই ভাইবোনের সঙ্গে দুই কামরার একটি বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। যদিও পরে ব্যবসায় সমৃদ্ধি লাভ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এবং তার ভাই পাশাপাশি দুটি বাড়ি কিনে সংযুক্ত করেন। এই বাড়িতেই মিলেছে ১৯৪ কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ। পীযূষ জৈনর বাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খুঁজে বের করতে বড় এক্সরে মেশিনের সাহায্য নেন আধিকারিকরা।

পীযূষ জৈনর বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার ছাড়াও হদিস পাওয়া যায় ১২৫ কেজি সোনা এবং কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির নথি। কনৌজে থাকা তার বাড়ির দেওয়ালে থেকে মিলেছে সোনা। এমনকি তার বাড়ির খাটের নিচে পাওয়া গিয়েছে লকার।