নিজস্ব প্রতিবেদন : অভিনয়, রাজনীতি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হামেশাই চর্চায় থাকেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এবার এই অভিনেত্রীকে নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে শুরু হয়ে গেল আলোচনা পর্যালোচনা। কারণ দিন কয়েক আগেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগের পর এবার তাকে ইডির (ED) তরফ থেকে সমন পাঠানো হয়েছে। শুধু সমন পাঠানো নয়, এর পাশাপাশি আগামী মঙ্গলবার তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার। ২০১৪-১৫ সালে ৪০০-র বেশি প্রবীণ নাগরিকদের প্রত্যেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে জমা দিয়েছিলেন একটি সংস্থায়। পরিবর্তে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সকল প্রবীণ নাগরিকরা না পেয়েছেন ফ্ল্যাট, না পেয়েছেন টাকা ফেরত। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর হলেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরে নুসরত জাহান সাংবাদিক বৈঠক করে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ তাকে ইডি তলব পাঠানোই সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহল জাগছে, ঠিক কত টাকার মালিক নুসরত জাহান?
২০১৯ সালের নুসরত জাহান জানিয়েছিলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ পর্যন্ত যথাক্রমে তিনি আয় করেছেন ২১,৯৮,৩১৩ টাকা, ৯,৪৮,০২৫ টাকা, ২০,২০,৪৮৬ টাকা, ৩৯,২৫,৫৪৬ টাকা এবং ২৫,৬৭,১২৫ টাকা। ব্যাঙ্ক, গহনা, গাড়ি, সেভিংস ইত্যাদি সহ তার মোট সম্পত্তি ছিল ৯০,৮৮,৩৯১.৩০ টাকা। যার মধ্যে ছিল ১২ লক্ষ টাকার গয়না, দুটি বিলাসবহুল গাড়ি যথাক্রমে ৭,৫০,০০০ টাকা এবং ২৮ লক্ষ টাকা, বাকি নগদ এবং ইনসিওরেন্স ও সেভিংস।
এছাড়াও ২০২৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী তার রয়েছে কলকাতায় বাসযোগ্য বাড়ি, যা কেনার সময় মূল্য ছিল ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৬৪ টাকা। এই বাড়িটির ২০১৯ সালের আনুমানিক বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছিল ২ কোটি টাকা। এছাড়া তাঁর নামে আর কোনো চাষযোগ্য অথবা অচাষযোগ্য জমি নেই বলেই তিনি হলফনামায় জানিয়েছিলেন।
তবে এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি পাশাপাশি তার মাথায় রয়েছে কোটি টাকার ঋণও। হাউজ লোন হিসাবে রয়েছে ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৮৪.২৭ টাকা। এছাড়াও গাড়ির লোন হিসাবে তার রয়েছে ১৯ লক্ষ ২ হাজার ২৩.৯০ টাকার ঋণ। অর্থাৎ তার মোট ঋণের পরিমাণ হল ১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৬০৮.১৭ টাকা।
অভিনেত্রী তথা সংসদ নুসরত জাহানের সম্পত্তির এমন হিসাব পাওয়া যায় ২০১৯ সালের নির্বাচনী হলফনামা থেকে। নির্বাচনী মনোনয়নপত্র হলফনামা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তিনি সেই সময় কয়েক কোটি টাকার মালিক যেমন ছিলেন ঠিক তেমনই তার মাথায় ছিল কোটি টাকার ঋণের বোঝাও। তবে চার বছর পর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তার সম্পত্তির পরিমাণ কতটা বেড়েছে বা কমেছে এবং ঋণের পরিমাণও কতটা বেড়েছে না কমেছে তা জানা যায়নি।