মন বসেনি বিদেশি কর্পোরেট চাকরিতে! বেছে নেন রাজনীতি! কত টাকা কামিয়েছেন মহুয়া মৈত্র

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যে সকল রাজনীতিক রয়েছেন সেই সকল রাজনীতিকদের মধ্যে যারা হামেশাই চর্চায় থাকেন তাদের মধ্যে মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) হলেন একজন। কখনো রাজনীতির আঙিনায় বিতর্কিত মন্তব্য, কখনো আবার সাংবাদিকদের দু’পয়সার সাংবাদিক বলে অপমান, আবার কখনো ক্যাশ ফর কোয়ারি বিতর্কে জড়িয়ে পড়া। ক্যাশ ফর কোয়ারি বিতর্কেই শেষমেষ মহুয়া মৈত্রকে শুক্রবার সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

Advertisements

রাজনীতিতে পা রাখার আগে মহুয়া মৈত্র বিদেশে কর্পোরেট দুনিয়ার বড় পদে ছিলেন। তবে কর্পোরেট দুনিয়ার বড় পদে থাকলেও হঠাৎ তার রাজনীতিতে মন বসে এবং ২০০৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে ২০১০ সালে কংগ্রেস থেকে যোগ দেন তৃণমূলে। মহুয়া মৈত্র তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শুধু সাংসদ নন, বিধায়ক হিসেবেও বড় দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নদীয়ার করিমপুর থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালে কৃষ্ণনগর থেকে সাংসদ হন।

Advertisements

মহুয়া মৈত্রের সম্পত্তি : মহুয়া মৈত্র রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই কোটিপতি। বিদেশে কর্পোরেট দুনিয়ার বড় পদে থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই স্বাভাবিক। যে কারণে তার চালচলনেও কর্পোরেট ভাব দেখা যায়। ২০১৯ সালে মহুয়া মৈত্রর মোট সম্পত্তির পরিমাণ রয়েছে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা। ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট সহ বিভিন্ন খাতে থাকা টাকার পরিমাণ রয়েছে ১ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭৫ হাজার ১১১ টাকা। দেশে ছাড়া বিদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও তার টাকা রয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? সংসদে দাঁড়িয়ে আজেবাজে ভাষার ব্যবহার মহুয়া মৈত্রের, ভিডিও দেখলে লজ্জা লাগবে

একটি বিদেশি ব্যাংকের লন্ডন শাখায় ২০১৯ সালে মহুয়া মৈত্রর জমা থাকা টাকার পরিমাণ রয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৮২ টাকা। ২০১৯ সালে নির্বাচনের খরচের জন্য কৃষ্ণনগরের একটি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকের শাখায় তিনি ৪৪ হাজার ৭৬৪ টাকা রেখে ছিলেন। এর পাশাপাশি ২০১৯ সালে মহুয়া মৈত্রর কাছে ৩.২ ক্যারেটের একটি হিরের আংটি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। যে আংটির মূল্য সেই সময় রয়েছে ৭০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও ১৫০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না রয়েছে যার সেই সময় বাজার মূল্য রয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। এর পাশাপাশি তার কাছে রয়েছে রুপোর ডিনার সেট, রুপোর চায়ের পাত্রের সেট, বিভিন্ন ধরনের রুপোর জিনিসপত্র। এই সমস্ত উপর জিনিসপত্র মিলিয়ে যা হবে তার মূল্য ২০১৯ সালে রয়েছে ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি অন্যান্য ধাতুর ৫ লক্ষ টাকার গয়নাও রয়েছে তার কাছে।

এসব ছাড়াও মহুয়া মৈত্রর কাছে বিভিন্ন শিল্প সংগ্রহ রয়েছে। যেগুলির বাজার মূল্যও অনেক। ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী তার কাছে ২৫ লক্ষ টাকার শিল্প সংগ্রহ রয়েছে। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী মহুয়া মৈত্রের নামে একটি স্করপিও গাড়ি রয়েছে এবং সেই গাড়িটি ২০১৬ সালে কেনা হয়েছিল। যে গাড়িটির বাজার মূল্য ৯ লক্ষ ৭ হাজার ৩৭৫ টাকা।

Advertisements