সরকারি অ্যাপ ক্যাবের নাম ও লোগো চূড়ান্ত করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই শুরু হবে পাইলট প্রজেক্ট।
App Cab Service in Kolkata ।। মহানগরের রাজপথে চলা হলুদ ট্যাক্সি নিয়ে যাত্রীদের বিস্তর অভিযোগ ছিল। রিফিউজাল অর্থাৎ গন্তব্যে যেতে না চাওয়া, মিটারের বদলে থোক টাকা চাওয়া সহ ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। ট্যাক্সি চালকদের সেই দম্ভ চূর্ণ করতে বিগত কয়েক বছর আগেই আত্মপ্রকাশ করেছে অ্যাপ পরিচালিত ক্যাব। কিন্তু তা নিয়েও মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। তবে এবার সমস্যামুক্তি করতে উদ্যোগী হতে চলেছে রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। যেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার এবং রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর এবং পরিবহন দফতর যৌথ উদ্যোগে নতুন পরিষেবা আনতে চলেছে। ইতিমধ্যেই একটি সংস্থা এই ব্যবসার জন্য লাইসেন্সও নিয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী শীলমোহর দেওয়ার পরেই তা পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বাজারে আত্মপ্রকাশ করবে।
আসলে কি করতে চলেছে রাজ্য সরকার? রাজ্য সরকার যে প্রজেক্ট আনছে, তা কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি এবং অ্যাপ ক্যাবের সংমিশ্রণ বললে ভুল হবে না। সূত্রের খবর, ক্যাব পরিচালনার জন্য যে ধরনের অ্যাপগুলি বাজারে রয়েছে, তেমনি একটি অ্যাপ আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। যেখানে সংযুক্ত করা হবে হলুদ ট্যাক্সিগুলিকে। ফলে এবার কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি অ্যাপ ক্যাবে পরিণত হবে। পরিবহন দফতর এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতর একযোগে এই কাজ পরিচালনা করবে।
জানা গিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের সোসাইটি ফর ন্যাচারাল ল্যাঙ্গোয়েজ টেকনোলজি রিসার্চ (এসএনএলটিআর) ইতিমধ্যেই এই নয়া অ্যাপ ক্যাবের ব্যবসা করতে লাইসেন্স নিয়েছে। ফলে রাজ্যে লাইসেন্স প্রাপ্ত অ্যাপ ক্যাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত। সরকারি এই অ্যাপ ক্যাবের প্রাথমিক পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। সব ঠিকঠাক চললে অগস্টেই পুরোপুরি বাণিজ্যি ভাবে বাজারে চলে আসবে এই ক্যাব।
শনিবারই রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের সচিব, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার অ্যাপ ক্যাব ব্যবসা নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পরিবহণ ও তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, হলুদ ট্যাক্সির পাশাপাশি ওলা, উবরের মতো অ্যাপ ক্যাবগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করাই লক্ষ্য। কারণ শুধু যাত্রী রিফিউজ়াল নয়, সার্জ চার্জের নামে দিনের বিভিন্ন সময়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সার্জ চার্জ বসিয়ে ভাড়া বাড়ায় এই সংস্থাগুলি। এতে যাত্রীরা জেরবার।
নতুন এই পরিষেবা বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করার আগে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বেশ কয়েকটি জায়গায় শুরু করা হবে। তালিকায় রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর, হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদা স্টেশন এবং কলকাতা স্টেশন। পরে তা সফল হলে রাজ্যের সব জায়গায় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু পাইলট প্রজেক্ট শুরু করার আগে প্রয়োজন রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর শিলমোহরের। সরকারি অ্যাপ ক্যাবের নাম ও লোগো চূড়ান্ত করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই শুরু হবে পাইলট প্রজেক্ট।