নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। ভারতীয় রেলের বিভিন্ন ভাগের মধ্যে আবার রয়েছে মেট্রো পরিষেবা (Metro Service)। মেট্রো পরিষেবার ক্ষেত্রে সবার প্রথম যার নাম আসে তা হল কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। কলকাতায় মেট্রো রেল পরিষেবা হলো শহরের প্রাণ। একবার এই মেট্রো রেল পরিষেবা ব্যাহত হলেই সবকিছু যেন স্তব্ধ হয়ে যায়।
কলকাতা মেট্রো রেল পরিষেবাকে আরও উন্নত থেকে উন্নততর করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ চালাচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। শহরের বুকে একের পর এক জায়গায় মাকড়সার জালের মত মেট্রো রেল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চালানো হচ্ছে। তবে এসবের মধ্যেই এবার নতুন সংযোজন হলো কলকাতা মেট্রোর রেকের রূপ বদল। যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে কলকাতা মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে তাতে পুরোপুরি চেহারা বদলে যাবে মেট্রো রেলের। কোচগুলিও বদলে যাবে আপাদমস্তক।
আসলে কলকাতা মেট্রো এবার আনা হবে নতুন ডিজাইনের রেক। যে সকল রেক হবে এসি। এই সকল রেক তৈরি করা হচ্ছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে। বাংলার ব্রাইডাল এবং টেরাকোটা শিল্পকর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ধরনের কোচ তৈরি করা হচ্ছে। শুধু চেহারায় বদল নয়, এর পাশাপাশি নতুন রেকগুলিতে আগের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি কোচে স্থানীয় শিল্প এবং কারুকার্য তুলে ধরা হবে। এছাড়াও বর্তমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিটি কোচের দুদিকে থাকবে ইউএসবি চার্জিং পোর্ট। এই সকল কোচের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, কোচের এক কোণে দাঁড়ানো আসনের ব্যবস্থা থাকবে। যদিও সেই আসনের সংখ্যা সীমিত। এক্ষেত্রে যারা বিমানবন্দরগামী যাত্রী থাকবেন তারা তাদের লাগেজ নিচে রেখে নিশ্চিন্তে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়াও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে থাকছে বিশেষ হ্যান্ডেল, অ্যান্টি-স্কিড ফ্লোরিং এবং অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা।
এর পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতি যাতে মোকাবেলা করা যায় তার জন্য যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি মোটরম্যানের যোগাযোগ করার ব্যবস্থা থাকবে। যাত্রীরা টক টু ড্রাইভার ইউনিট ব্যবহার করে মোটরম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এছাড়াও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কোচের ভিতর কৌশলগতভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকবে। পাশাপাশি দিনের ব্যস্ত সময়ে যাতে যাত্রীদের অসুবিধা না হয় তার জন্য উন্নতমানের ‘রুফ গ্র্যাব হ্যান্ডেল’। এর ফলে যাত্রীদের ফেস্টিবুলে দাঁড়াতে যাওয়া হবে না। নতুন ধরনের এই কোচ ২০২৬ সাল নাগাদ চালু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।