নিজস্ব প্রতিবেদন : যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যেমন রেল পথ, সড়ক পথ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ঠিক সেই রকমই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। কেননা জলপথে অনেক সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে যাওয়া যায়। জলপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যানজটে আটকে যাওয়ার মতো কোনো সমস্যাও থাকে না। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই দিন দিন বাড়ছে ফেরি পরিষেবার চাহিদা। আর সেই চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন এক ফেরি পরিষেবা (New Ferry Service) চালু হলো রাজ্যে।
নতুন এই ফেরি পরিষেবার মাধ্যমে নতুন করে দূরে যাবে উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নতুন এই ফেরি পরিষেবার উদ্বোধন করলেন। নতুন এই রুটে জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা শুরু হলো নতুন ফেরি পরিষেবার উদ্বোধনের ফলে। স্বাভাবিকভাবেই নতুন এই ফেরি পরিষেবা দুই জেলার বাসিন্দাদের কাছে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায় শুরু করল।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবরায় প্রশাসনিক সভায় উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নতুন এই ফেরি পরিষেবার উদ্বোধন করেছেন মঙ্গলবার। এই পরিষেবার মধ্য দিয়ে লঞ্চ যাতায়াত করবে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর থেকে হুগলির চন্দননগর পর্যন্ত। দুই জেলার মধ্যে গঙ্গা পথকে কাজে লাগিয়ে অনেক সহজেই যাত্রীরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে পারবেন। জলপথে যাতায়াতের কারণে সময় অনেক বাঁচবে।
রাজ্য পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর থেকে হুগলির চন্দননগর পর্যন্ত নতুন এই ফেরি পরিষেবা পরিচালনা করবে। প্রাথমিকভাবে রাজ্য পরিবহন দপ্তর নতুন এই ফেরি পরিষেবার পরিচালনা করলেও পরবর্তীকালে তার দায়িত্ব দেওয়া হবে চন্দননগর এবং উত্তর ব্যারাকপুর পৌরসভার হাতে ভাগ করে। আসলে কোন পৌরসভা এই পরিষেবা চালানোর দায়িত্ব নেবে তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে নতুন এই ফেরি পরিষেবার সময়সূচী সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তাতে সকাল ন’টা থেকে পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হবে। ইছাপুর থেকে হুগলির চন্দননগর পর্যন্ত এই পরিষেবা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কর্মরত মানুষদের অনেক সুবিধা দেবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। কেননা তারা এখন অনেক সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরেই এই ফেরি পরিষেবা চালু হওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলেন তারা।