নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ইতিহাসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেওয়া ট্রেনটির নাম হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ট্রেনটি তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এই ট্রেনটি হল দেশের সবচেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রেন। যে কারণে এই ট্রেনকে বলা হয়ে থাকে সেমি হাই স্পিড ট্রেন। এই ট্রেনটি ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি তুলতে সক্ষম। যদিও এত গতিবেগে এখনো ভারতের কোন ট্র্যাকে ট্রেনটি ছোটেনি।
গতিবেগ, লুক ছাড়াও যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ এবং নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে এই ট্রেনটির বিকল্প কোন ট্রেন এখন দেশের রেল ট্র্যাকে নেই বলেই দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই ট্রেনের গ্রহণ যোগ্যতা আরও বাড়ানোর জন্য এবং আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই সকল পদক্ষেপের মধ্যেই এবার বন্দে ভারত নিয়ে আরও একটি পদক্ষেপ নেওয়া হল।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই ট্রেনের সফরের আনন্দ আরও দ্বিগুণ করে তোলার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে রেল। সেই পদক্ষেপে বন্দে ভারতে সফরের নিয়মে আনা হবে বদল। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এমন ব্যবস্থা চালু করবে রেল। মোট ৬টি রুটে এমন নতুন ব্যবস্থা পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে চালু হতে চলেছে। রেলের তরফ থেকে নতুন এই পাইলট প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘যাত্রী সুবিধা অনুবন্ধ’। জানা যাচ্ছে দক্ষিণ রেলের ৬টি রুটে এমন বদল আনা হবে।
এই বদলা আনার পর বন্দে ভারতে সফর করার সময় যাত্রীরা বিমানের বিজনেস ক্লাসের মত এক্সক্লুসিভ মেনুর বিকল্প পাবেন। নিজেদের ইচ্ছেমতো সেখান থেকে খাবার বেছে অর্ডার করতে পারবেন যাত্রীরা। ঠান্ডা এবং গরম পানীয়র বিকল্পও রাখা হবে এই ব্যবস্থাপনায়। এর ফলে যাত্রীরা তাদের সফরের ক্ষেত্রে অনেক বেশি উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে এমন আন্তর্জাতিক সফরে বড় বড় সংস্থা এক ধরনের কিট দিয়ে থাকে যাতে স্লিপার, গাউন সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দেওয়া হয়। বন্দে ভারতের ক্ষেত্রেও এই ধরনের ব্যবস্থা রাখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছানোর পর তাদের জন্য ক্যাবের ব্যবস্থা থাকতে পারে। এছাড়াও যাত্রীরা চাইলে হুইল চেয়ারে বসে ট্রেনে যেতে পারেন অথবা ট্রেন থেকে নেমে হুইলচেয়ারে চড়ে স্টেশনের বাইরে যেতে পারেন। এছাড়াও ট্রেনের কামরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রতিটি কামরায় একজন করে হাউসকিপিং স্টাফ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। চেন্নাই-মাইসোর, চেন্নাই-তিরুনেলভেলি, চেন্নাই-কোয়াম্বাটুর, তিরুবনন্তপুরম-কাসারগোড়, চেন্নাই-বিজয়ওয়াড়া এইসব রুটে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে নতুন এই ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।