নিজস্ব প্রতিবেদন : উৎসবে অনুষ্ঠানে একটু আকটু গলা না ভেজালে কি আর চলে! হ্যাঁ, আসলে কাদের কথা বলছি বুঝতেই পারছেন। এখানে সূরা প্রেমীদের কথা বলা হচ্ছে। তবে আবার উৎসব অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে মদের (Liquor) ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে অনেক সময় দু’নম্বরী মাল দিয়ে দেওয়া হয়। আর এই দু’নম্বরী মাল খেয়ে সূরা প্রেমীদের শরীর যেমন খারাপ হয় ঠিক সেই রকমই আবার লোকসান হয় সরকারেরও (West Bengal Government)।
এই বছর দুর্গাপুজোর সময় রাজ্যে রেকর্ড পরিমাণ মদ বিক্রি হয়েছে এবং সেই রেকর্ড পরিমাণ মত থেকে যে রাজস্ব আদায় হয়েছে তাতে রীতিমত ফুলেফেঁপে উঠেছে রাজ্য সরকারের কোষাগার। দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোতেও মদ নিজের ফেল দেখাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। দুর্গাপুজোর থেকেও বেশি মদ বিক্রির আশা করছে রাজ্য। তবে এই ধরনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যাতে ভেজাল মদ বিক্রি করা না হয় তার জন্য জোড়া অস্ত্র ব্যবহার করার বন্দোবস্ত করা হলো।
ভেজাল বা দু’নম্বরী মাল যাতে কোন গ্রাহককে দিয়ে দেওয়া না হয় এবং গ্রাহকরা এই ধরনের ভেজাল মদ কি নিয়ে যাতে না ঠকেন তার জন্য এবার মদের বোতলে রাজ্য আবগারি দপ্তর কিউআর কোড বসানোর সিদ্ধান্ত নিল। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের মধ্যে যদি কোন রকম সন্দেহ হয় তাহলে তিনি ওই কিউআর কোড স্ক্যান করে ওই মদ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও মদের বোতলে যে হলোগ্রাম থাকে তার আকার বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে করে গ্রাহকরা সহজেই সেই হলোগ্রাম পড়তে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আবগারি দপ্তর গত সাত মাসে কেবলমাত্র মদ থেকেই ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে। বলাই বাহুল্য এই দপ্তরের আদায়কৃত রাজস্ব থেকে রাজ্যের খরচের বড় অংশ আসে। কিন্তু এরই মধ্যে আবার অভিযোগ উঠছে, ডুপ্লিকেট বা ভেজাল মদ বিক্রি হওয়ার। এই ধরনের অভিযোগ এবং ভেজাল মদ রুখে দিয়ে যাতে গ্রাহকদের ভালো পরিষেবা দেওয়া যায় এবং রাজস্ব আদায় আরও বাড়ানো যায় সেই দিকেই নজর দিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য আবগারি দপ্তরের তরফ থেকে নতুন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা খুব তাড়াতাড়ি কার্যকর হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এই নতুন ব্যবস্থা কালীপুজোর আগেই চালু হয়ে যাবে। তবে যে সকল দোকানে পুরাতন স্টক রয়েছে সেই পুরাতন স্টক শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন স্টকের এই ধরনের মদ পাওয়া যাবে না।