নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) এখন যুগান্তকারী ফসল হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। এই ট্রেনটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ট্রেন এবং বর্তমানে এটি হলো দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন। ইতিমধ্যেই এই ট্রেন দেশের ২৫ টি রুটে চালু করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে অন্যান্য বিভিন্ন রুটে যাতে এই ট্রেন চালানো যায় তার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে রেল। খুব তাড়াতাড়ি সেই তৎপরতার ফসল মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও অনেক বেশি রুটে বন্দে ভারত চালানোর জন্য প্রয়োজন আরও বেশি ট্রেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসানসোলের চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। চারটি ইঞ্জিন তৈরি করার কাজ চালানো হচ্ছে। এই চারটি ইঞ্জিন দুটি ট্রেনে ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি ট্রেনে দুটি করে ইঞ্জিন থাকবে, সামনে এবং পিছনে। যাকে বলা হয় পুশ-পুল।
চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন তৈরি কারখানা এইভাবে বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরি করার বরাত পাওয়ার ফলে আরও গরিমা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। ৭০ বছর ধরে এই কারখানা ভারতকে নতুন নতুন রেল ইঞ্জিন উপহার দিয়েছে। আর এবার এই কারখানা ভারতকে বন্দে ভারতের ইঞ্জিন উপহার দেবে। এই কারখানায় যে ইঞ্জিন তৈরি করা হচ্ছে সেগুলি ২৪ টি বন্দে ভারতের কামরা টানবে বলে জানা গিয়েছে।
আসানসোলের চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় যে বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরি হচ্ছে সেগুলি সাদা ও গেরুয়া রঙের। এছাড়াও নতুন এই ইঞ্জিনে নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে কারখানায় সদ্য নিযুক্ত হওয়া জেনারেল ম্যানেজার দেবীপ্রসাদ দাসের তরফ থেকে। তার থেকেই জানা যায়, জুন মাসের শেষের দিকে রেলবোর্ড সংস্থা তাদের বন্দে ভারতের ইঞ্জিন তৈরির জন্য সম্মতি দেয়।
রেল বোর্ডের তরফ থেকে বরাত পাওয়ার পর মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে ডিজাইন তৈরি করে ফেলা হয়। এই রেল ইঞ্জিন এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যাতে বাতাসের বাধা অনেক কম থাকে। এছাড়াও নতুন সব ফিচারের অংশ হিসাবে সুরক্ষা কবচের উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও লুকিং গ্লাস অনেক বড় করা হয়েছে এবং সিসিআর ভিসি প্রযুক্তি রাখা হয়েছে। এর ফলে লোকো পাইলট যা বিষয়ে কথা বলবেন সেগুলি রেকর্ড হয়ে থাকবে। এছাড়াও লোকো পাইলট নিজের কন্ট্রোল রুম থেকেই সিগন্যাল সম্পর্কে জানতে পারবেন বিশেষ আলোর মাধ্যমে। পাশাপাশি স্টেশনের সঙ্গে লোকো পাইলটের কথাবার্তার ক্ষেত্রে যদি কোনরকম সমস্যা হয় তাহলে ট্রেনটি নিজে থেকেই ব্রেক করে থেমে যাবে।