নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের শাসক দল হিসাবে তৃণমূল সরকারে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) পরিকল্পনায় চালু হয়েছে একের পর এক সরকারি প্রকল্প (Government Scheme)। এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে সকল প্রকল্প চালু করা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar), স্বাস্থ্য সাথীর (Swasthya Sathi) মতো প্রকল্পগুলি। তবে এবার এই প্রকল্পকেও ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে নতুন একটি প্রকল্প।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পুজোর আগে নতুন একটি প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ৮০ হাজার টাকা করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে রাজ্যের প্রতিটি মিউনিসিপালিটি এবং পৌরনিগম এলাকায়। এই প্রকল্পের হাত দিয়ে একশ্রেণীর মানুষ পুজোর আগে ব্যাপক সুবিধা পাবেন এমনটাই আশা করা হচ্ছে। পুজোর আগে ওই শ্রেণীর মানুষদের মুখে হাসি ফুটবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন যে প্রকল্প চালু করা হতে চলেছে সেই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন রাজ্যের প্রতিটি পৌরসভা এবং পৌরনিগম এলাকার হকাররা। পুজোর সময় মূলত সাধারণ মানুষদের মধ্যে জামাকাপড় কেনার ধুম থাকলেও ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন না। কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা থাকে না আর পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে ব্যবসা বৃদ্ধি হয় না।
ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখেই এবার সরকারি এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ৮০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে। প্রথম দফায় দেওয়া হবে ১০০০০ টাকা এবং সেই টাকা শোধ করলেই পরের দফায় দেওয়া হবে ২০০০০ টাকা। এই ঋণ শোধ করার জন্য হকাররা সময় পাবেন সর্বাধিক এক বছর। আর এক বছরের মধ্যে সেই ঋণের টাকা শোধ করে দিলে দেওয়া হবে ৫০০০০ টাকা।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে খুব কম সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। কেননা এই প্রকল্পে একজন ঋণগ্রহীতা যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবেন, সেই ব্যাংকের যা সুদের পরিমাণ রয়েছে তার থেকে ৭ শতাংশ সুদ কম নেওয়া হবে। হিসেব অনুযায়ী যদি কোন ব্যাংক ১০% সুদের হারে ঋণ দিয়ে থাকে তাহলে এই প্রকল্পের আওতায় একজন হকারকে মাত্র ৩ শতাংশ সুদ দিতে হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের আওতায় ৭৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে এবং ৪৬ হাজারের বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ হাজারের বেশি হকারকে এই প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই ঋণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।