Level Crossings: ট্রেন পার হওয়ার জন্য আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা নয়, এবার পূর্ব রেল নিল দারুণ ব্যবস্থা

New steps of Indian Railways to eliminate the problem of traffic congestion at level crossings: ভারতবর্ষের বিভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম পরিবহন ব্যবস্থা হল রেল পরিবহন। যার উপর নির্ভর করে থাকে দেশের বহু মানুষ। সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেয় রেল পরিবহন। ফলেই প্রতিদিন পড়ুয়া থেকে শুরু করে কর্মজীবীরা যাতায়াতের জন্য এই ট্রেন পথকে বেছে নেয়। কিন্তু সমস্যা হয় লেভেল ক্রসিং গেটে। বাস, অটো, রিকশা যানজট থাকার কারণে লেভেল ক্রসিং গেটট পার হতে দেরি হয় ইন্ডিয়ান রেলওয়ে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। যার ফলে সময়ে পৌঁছতে পারে না পড়ুয়া সহ কর্মজীবীরা। তবে আর সেই অপেক্ষা নয়, যানযট দূর করতে দারুন সিদ্ধান্ত নিল রেলওয়ে বিভাগ। শুরু হল রোড আন্ডার ব্রিজ তৈরির কাজ।

প্রসঙ্গত বহু জায়গাতেই সড়ক পথের সাথে রেললাইনের সংযোগ রয়েছে। সেই জায়গাগুলিতেই সড়ক পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য লেভেল ক্রসিং গেট (Level Crossings) তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু জনবহুল এলাকাগুলিতে যানজট সমস্যার কারণে সড়কপথের যানজট ট্রেন চলাচলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি রেলগেট বন্ধ করতে গেলে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে বিভাগের কর্মরত রেলকর্মীকে বাধা দেওয়া হয়।

তাই সড়কপথসহ রেলপথের যাত্রীদের সুবিধা নিরাপত্তার কথা ভেবে এক নতুন পদক্ষেপ নিল ভারতীয় রেল বিভাগ। শুরু হলো রোড আন্ডার ব্রিজ অর্থাৎ সীমিত উচ্চতার সাবওয়ে তৈরির কাজকর্ম। ইতিমধ্যে বহু জায়গায় সীমিত উচ্চতার সাবওয়ে নির্মাণের জন্য RCC বক্স বসানো হয়েছে। বহু জায়গায় বক্স বসানোর কাজ চলছে। যার জন্য মাঝেমধ্যে পূর্ব রেল শনিবার-রবিবার দিনগুলিতে ব্লক নিচ্ছে। যাতে করে এই কাজ ভালোভাবে দ্রুত সম্পূর্ণ হয়।

আরও পড়ুন 👉 Train increase in Sealdah Division: আরও সহজে হবে যাতায়াত! শিয়ালদা ডিভিশনে বাড়বে ৬৪ লোকাল ট্রেন, সুখবর দিল রেল

খবর রয়েছে মালদা ডিভিশনে দুমকা ও বড়পলাশীর মধ্যবর্তী রেল গেট নম্বর ৪১ ও ৪২-এ রোড আন্ডার ব্রিজ তৈরির জন্য RCC বসানো হয়েছে। অপরদিকে ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখার ধাত্রীগ্রাম ও সমুদ্রগড় স্টেশনের মধ্যবর্তী রেলগেট নম্বর 12/1/E-তে সবওয়ে তৈরীর জন্য RCC বক্স বসানো সম্পূর্ণ হয়েছে।

ইতিমধ্যেই রেলের তরফে প্রায় ১৭টি রেলগেটে রোড আন্ডার ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে সড়কপথে যান চলাচল এবং পথচারীদের যেমন সুবিধা হয়েছে তেমন রেলগেট পারাপার হতে বেশি সময় লাগছে না রেলের। ফলে যাত্রীরাও সময়ে মধ্যে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ জনসাধারণের জন্য যাতায়াতের যেমন সুবিধা হচ্ছে তেমন কাঠামোগত উন্নতিও ঘটছে।