New steps taken by administration to handle extra crowd in Digha during holidays: বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার প্রথম পছন্দ “দিপুদা” অর্থাৎ দিঘা, পুরি, দার্জিলিং। ঈদ আর নববর্ষের ছুটি কাটতে না কাটতেই, স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ার সময় হয়ে যাবে আর ছুটি মানেই মনটা ঘুরু ঘুরু করে ওঠে। এই লম্বা ছুটিগুলিকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের (Holidays in Digha) ভিড় উপচে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে দীঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা সহ প্রশাসনিক মহলও।
বৃহস্পতিবার ছিল ঈদ, মাঝে একটা শুক্রবার বাদ দিলে শনি রবি পরপর দুদিন ছুটি, তার উপর আবার পয়লা বৈশাখ। এরপরেই আবার স্কুলগুলিতে পড়তে চলেছে গ্রীষ্মের ছুটি। ১ মাসের জন্য। এত লম্বা ছুটিতে বাড়ি বসে না থেকে ঘুরতে তো যেতেই হবে। আর খুব স্বাভাবিকভাবে বাঙালি দীঘা পুরী দার্জিলিং এর মধ্যে যেকোনো একটি ঘুরতে যাবার স্থান হিসেবে বেছে নেবে। আর তাই দিঘার প্রশাসনের তরফ থেকে ঈদের আগেই বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা যে কোন ঋতুতে দীঘার (Holidays in Digha) অপরূপ সৌন্দর্যের কোন তুলনা হয় না তাই সমুদ্র প্রেমি পর্যটকরা বারবার ফিরে আসেন দিঘাতে। মোহময়ী দীঘা, পর্যটকদের বারবার আকর্ষণ করে যে কোন ছোটখাটো ছুটিতেও দীঘায় ঢল নামতে দেখা যায়। শুধু দীঘা নয় তার পার্শ্ববর্তী মন্দারমনি, তাজপুর, শংকরপুর ইত্যাদি এলাকাতেও পর্যটকদের ভিড় জমতে দেখা যায় যে কোন ঋতুতে যেকোনো উৎসবে।
ইতিমধ্যে হোটেল বুকিং এর রমরমা দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে, খুব শীঘ্রই দিঘার পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় (Holidays in Digha) উপচে পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষের। আর তাই প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সমুদ্র স্নানের সময় যাতে কোনো রকম বিপদের সম্মুখীন না হতে হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে প্রশাসন। পর্যাপ্ত পরিমাণে নুলিয়াদেরকে সমুদ্রে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে, বজ্রপাতের বিষয়ে পরযটকদের নিয়মিত সতর্ক করা হবে, এছাড়াও জোয়ারের সময় সমুদ্র স্নানের বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাবে প্রশাসন।
পর্যটকদের আনন্দ দিতে দীঘায় বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা হয়েছে। তার মধ্যে মেরিন ড্রাইভ জগন্নাথ মন্দির এবং সুসজ্জিত পার্ক অন্যতম। এইসব কিছুর কারণে দীঘার ব্র্যান্ড ভ্যালু এখন অনেকটাই বেড়ে গেছে। আর তাই প্রতিনিয়ত পর্যটক এর সংখ্যা বাড়ছে। ক্রমশ ভীর বেড়েই চলেছে দিঘাতে। এমন সময়ে যেকোনো উৎসবে যে পরিমাণ ভিড় দিঘাতে হতে দেখা যায়, এত লম্বা ছুটি উপলক্ষে ভিড় যে তার থেকে অনেক বেশি হবে তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। আর তাই জন্য দীঘার প্রশাসন অত্যন্ত তৎপরতার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।