New Teesta Bridge: তিস্তার উপর অবস্থিত করোনেশন ব্রিজ হল উত্তর পূর্বের সঙ্গে যোগাযোগ করার একমাত্র মাধ্যম। ১৯৪১ সালে এই ব্রিজ সর্বপ্রথম নির্মাণ করা হয়। ভারত-চীন সীমান্তে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সেনাবাহিনী এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে। বর্তমানে এই করোনেশন সেতুর অবস্থা একদমই ভালো নয়। দেড় দশক আগে ভূমিকম্পের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিও হয়েছে এই সেতুর। স্থানীয় মানুষ, পর্যটক এবং দেশের প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই সেতু।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করছে এই করোনেশন ব্রিজ। এই সেতুটি রাজা ষষ্ঠ জর্জ এবং রানী এলিজাবেথের অভিষেক স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন এই ব্রিজ নির্মাণে খরচ হয়েছিল মোট ৪ লক্ষ টাকা। স্থানীয় মানুষজন এই ব্রিজকে বাঘপুল নামে ডাকে। কারণ এর প্রবেশপথে দুটি বাঘের মূর্তি রয়েছে। এই করোনেশন ব্রিজ সেবক রোডওয়ে ব্রিজ নামেও পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই তিস্তার উপরে বিকল্প করোনেশন সেতু (New Teesta Bridge) নির্মাণের দাবি উঠেছে। কিন্তু নানান বিবাদের ফলে প্রকল্পের কাজ এগোয়নি।
সম্প্রতি জাতীয় স্বার্থে তিস্তার উপর সেতু বানানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই বিকল্প সেতু বানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। মূলতঃ ভারত চীন সীমান্তে ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই দ্বিতীয় সেতু (New Teesta Bridge) নির্মাণের অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শিক্ষক-পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ সরকারী স্কুল, সেখানেই বসছে হাট
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্রিজের জন্য প্রায় ১১০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে। কেন্দ্র থেকে ইতিমধ্যেই এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই সেতুর দৈঘ্য হবে ৬০০ মিটার। এই সেতুর দুপাশে দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ রোড থাকবে। বন্যপ্রাণী করিডোরের মধ্যেই এই অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হবে। সেজন্য অবশ্য পরিবেশ সংক্রান্ত অনুমোদনও প্রয়োজন।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এর আগেও বহুবার ব্রিজের ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই ব্রিজ আর নির্মাণ করা হয়নি। তাই ডিপিআর তৈরি করা মানে যে ব্রিজ তৈরি করা হবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। তিস্তার ওপর এই বিকল্প সেতু (New Teesta Bridge) নির্মাণ করতে গেলে প্রচুর মানুষকে উচ্ছেদ করতে হবে। এই কারণেই এতদিন অনুমোদন মিলছিল না। বিকল্প ব্রিজের কারণে সরকারি প্রকল্পের জন্য জোর করে জমি দখলের পক্ষপাতী নন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।