New Update of Bank: ডবল সুখবর, বাড়তে পারে ছুটি, বাড়তে পারে বেতন! এখন ব্যাঙ্ক কর্মীদের দেখে কে!

New Update for Bank Employees about Salary and Leave: চলতি বছরে ব্যাংক কর্মীদের জন্য আসতে চলেছে সুখবর (New Update of Bank)। ইতিমধ্যেই সপ্তাহে ছয় দিনের পরিবর্তে পাঁচ দিন পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছেন খুব শীঘ্রই হয়তো এই ব্যবস্থা চালু হতে পারে। তার ওপর চলতি বছর বেসরকারি এবং সরকারি ব্যাংক কর্মীরা বিভিন্নভাবে লাভবান হতে পারে। কি সুখবর আসতে চলেছে তাদের জন্য? বিস্তারিত জানতে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন আজকের প্রতিবেদনটি।

সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ব্যাংকের কর্মীদের বেতন ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি হতে পারে (New Update of Bank)। ভারতীয় ব্যাঙ্কিং অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ আইবিএ ছয় দিনের পরিবর্তে ৫ দিনের পরিসেবা দেওয়ার পরিকল্পনাটিকে ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা অর্থ মন্ত্রক এবং রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার অনুমোদনের। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যাংক মাসের প্রথম তৃতীয় এবং পঞ্চম শনিবার খোলা থাকে। আর দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার বন্ধ থাকে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং সরকার ভারতীয় ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন এর সঙ্গে একমত হয়ে ২০১৫ সালে দশম তম দ্বিপক্ষীয় নিষ্পত্তির অধীনে প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার ছুটির আবেদনটিকে অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু ব্যাংক ইউনিয়নগুলো ২০১৫ সালে আরও দাবি জানায় তাদের সপ্তাহের প্রত্যেক শনি ও রবিবার ছুটি দেওয়া হোক। ব্যাংক ইউনিয়নগুলো আরো জানিয়েছে যে যদি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও সরকার এই আবেদনের সাড়া দেয় তাহলে প্রত্যেকদিন তাদের কর্মসময়ের থেকে আরো ৪৫ মিনিট বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন প্রস্তাব করেছিল যে সমস্ত ধরনের ব্যাংকের কর্মীদের বেতন ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি বিভিন্ন দাবির সাথে বেতন আরো বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক সহ আরো কিছু ব্যাংক বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (PNB) সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধির পরিবর্তে ১৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করতে পারে (New Update of Bank)।

প্রত্যেকটি ব্যাংকের ক্ষেত্রেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুনাফা বৃদ্ধির জন্য কর্মচারী ও শ্রমিক সংগঠনগুলো বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছে। সকল ব্যাংক কর্মীরা দাবি করেছে যে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তারা কাজ করেছে, সরকারের বিভিন্ন স্কিম গুলোকে তারা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে এবং ঋণদাতাদের ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক বেশি প্রচেষ্টা করেছেন।