Local Train Service: শনি-রবিতে ট্রেনের চিন্তা দূর করল রেল, নেওয়া হল নতুন ব্যবস্থা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলার কারণে শতাধিক লোকাল ট্রেন (Local Train) বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছিল রেলের তরফ থেকে। শিয়ালদা ডিভিশনে এইভাবে বিপুল সংখ্যক ট্রেন বাতিলের ঘোষণায় রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছিল নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্যদের। তবে শেষ পর্যন্ত এই চিন্তা দূর করল পূর্ব রেল (Eastern Railway)। সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে নেওয়া হল নতুন পদক্ষেপ।

Advertisements

শিয়ালদা ডিভিশনের দমদম জংশনে ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য শনিবার ও রবিবার ২৭৮টি লোকাল ট্রেন বাতিল করার ঘোষণা করা হয়েছিল। লোকাল ট্রেন বাতিলের পাশাপাশি আটটি এক্সপ্রেস, মেল ও মেমু ট্রেন বাতিলের ঘোষণাও করা হয়েছিল। এই ঘোষণায় সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগের চাকরিপ্রার্থীদের বড় অংশকে।

Advertisements

চাকরিপ্রার্থীদের বড় অংশ ওই দুদিন ট্রেন বাতিলের ঘোষণায় সবচেয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন কারণ রবিবার অর্থাৎ তিন মার্চ তাদের পরীক্ষা রয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার দিনে বিপুল সংখ্যক ট্রেন বাতিলের ঘোষণায় বাংলা চাকরিপ্রার্থীদের বড় অংশ কিভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন। অবশেষে এই সকল চিন্তা দূর করে পূর্ব রেলের তরফ থেকে ট্রেন বাতিলের ঘোষণা বাতিল করা হলো।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Dumdum Road joining new bridge: আরও সহজে ওঠা যাবে দমদম রোডে, ২২ কোটি টাকায় চালু হয়ে গেল নতুন সেতু

শুক্রবার পূর্ব রেলের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত যে ইন্টারলকিংয়ের কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা আপাতত করা হচ্ছে না। ইন্টারলকিংয়ের কাজ না করার কারণে যে সকল ট্রেন বাতিলের ঘোষণা করা হয়েছিল সেগুলিও বাতিল থাকবে না। তবে কি কারণে ইন্টারলকিংয়ের কাজের সুচি পরিবর্তন করা হলো তা জানানো হয়নি। রেলের তরফ থেকে এইটুকু জানানো হয়েছে, পরিষেবা, সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে তারা বদ্ধপরিকর। যাত্রীদের স্বার্থেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রেলের ইন্টারলকিংয়ের কাজ কেন পিছিয়ে দেওয়া হলো তা নিয়ে অবশ্য মাথাব্যথা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের। তারা আপাতত একসঙ্গে এত সংখ্যক ট্রেন বাতিল না থাকার ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। সবচেয়ে বেশি স্বস্তির নিঃশ্বাস পেয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় বসতে চলা চাকরিপ্রার্থীরা। কেননা তাদের আর অন্ততপক্ষে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না।

Advertisements