নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পথের পাশাপাশি সড়ক পথ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI) প্রতিনিয়ত দেশের কোনায় কোনায় জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে এক্সপ্রেসওয়ে ইত্যাদি তৈরি করার কাজ চালাচ্ছে। আর এই কাজের মধ্যেই এবার পশ্চিমবঙ্গ পেতে চলেছে নতুন একটি জাতীয় সড়ক, যা সরাসরি উপকারে আসবে ৬ জেলার।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত একটি চার লেনের ইকোনমিক করিডর (New National Highway) তৈরি করার কাজ চালাচ্ছে। যে জাতীয় সড়ক বর্ধমান, মোড়গ্রাম হয়ে পৌঁছে যাবে উত্তরবঙ্গ। এই জাতীয় সড়কের নাম ১১৬এ। নতুন এই জাতীয় সড়কটি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় সড়ক হতে চলেছে।
নতুন এই জাতীয় সড়ক বা অর্থনৈতিক করিডরটি ২০২৮ সালের মধ্যে পুরোপুরিভাবে তৈরি করা শেষ হবে বলে জানা যাচ্ছে। খড়গপুর থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত অংশ ৬ জেলার উপর দিয়ে যাবে। সম্প্রতি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া নতুন এই জাতীয় সড়ক নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এবং তাতে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রজেক্টের জন্য ১০২৪৭ কোটি টাকা খরচ করা হবে।
আরও পড়ুন ? Bharatmala Mega Project: ভারতমালা অতীত! এবার জাতীয় সড়ক তৈরিতে মেগা প্ল্যান কেন্দ্র সরকারের
১১৬এ জাতীয় সড়ক খড়গপুর থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার পর তা উত্তরবঙ্গ পৌঁছানোর জন্য ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে খড়গপুর থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত ২৩১ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরই তা ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। নতুন এই ২৩১ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে শুরু হওয়ার পর হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম হয়ে মুর্শিদাবাদের সঙ্গে জুড়ে যাবে।
বর্তমানে খড়গপুর থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত দুটি জাতীয় সড়ক রয়েছে। যে দুটি জাতীয় সড়কের মধ্যে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হলে ৩০৭ কিলোমিটার এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হলে ৩৪৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এমন আবহে নতুন জাতীয় সড়ক তৈরি হয়ে গেলে পাড়ি দিতে হবে কেবলমাত্র ২৩১ কিলোমিটার পথ। এক্ষেত্রে ১১৭ কিলোমিটার পথ বাঁচবে। নতুন এই জাতীয় সড়কে ১০৯টি ব্রিজ, ১০৩টি আন্ডারপাস, ১৮টি ফ্লাইওভার, ৪টি রেল ওভার ব্রিজ এবং ৩টি ইন্টারচেঞ্জ নেটওয়ার্ক থাকবে। অন্যদিকে ওই জাতীয় সড়ক ধরে উত্তরবঙ্গ যাতায়াত করলে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা সময় বাঁচবে বলেও মনে করা হচ্ছে।