কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে চলেছেন দুই বাঙালি সাংসদ, একপ্রকার নিশ্চিত দুই নাম

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছে বাংলার দুই বিজেপি সাংসদকে দেওয়া হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের খবর নেওয়ার পর থেকেই এই জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে কারোর কপালে পূর্ণমন্ত্রীর শিকে ছিঁড়বে কিনা তাই এখন দেখার।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যে সকল বাঙালি সাংসদের ঠাঁই পাওয়ার জল্পনা চলছিল তারা হলেন লকেট চ্যাটার্জি, নিশীথ প্রামানিক, শান্তনু ঠাকুর এবং দিলীপ ঘোষের নাম। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে দুজন বাঙালি বিজেপি সাংসদ মন্ত্রিত্ব পেতে চলেছেন তাঁরা হলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এবং বনগাঁ এর সংসদ তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর। নিশীথ প্রামানিক ইতিমধ্যেই দিল্লিতে রয়েছেন এবং শান্তনু ঠাকুরকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। তবে এর পাশাপাশি দিল্লি তলব করা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও। তিনি রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

নিশীথ প্রামানিক এবং শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উত্তরবঙ্গে বিজেপির ভালো ফলাফলের কারণ হিসেবে নিশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্ব বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি তিনি মোদি ও শাহ-এর কাছে বেশ প্রিয়। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুরের গুরুত্ব বেড়ে উঠেছে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রাসঙ্গিকতায়। বনগাঁর মত মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় আসন ছিনিয়ে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্ব বেড়েছে এই মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুরের।

মোদির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে বাঙালি দুই সাংসদ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি সাংসদদের নাম উঠে আসছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া নিয়ে। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মহারাষ্ট্রের নারায়ন রাণে, বিহারের সুশীল মোদি এবং পশুপতি পারোস, অসমের সর্বানন্দ সোনোয়াল, উত্তরপ্রদেশের ভূপেন্দ্র যাদব এবং অনুপ্রিয়া প্যাটেল, মহারাষ্ট্রের প্রীতম মুন্ডের।