শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ, কোনো প্রভাব পড়বে না, অনুব্রত

লাল্টু : শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের হাত ধরে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে বিধায়ক, প্রাক্তন বিধায়ক, সাংসদ, প্রাক্তন সাংসদ, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সংখ্যালঘু সেল সহ নেতাকর্মীরা সহ ৫০ জন গেরুয়া শিবিরের নাম লেখালেন। আর এই নাম লেখানোর তালিকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ নামই শাসকদল তৃণমূল থেকে হলেও কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট থেকেও নাম লক্ষ্য করা যায়। বলাই বাহুল্য হাফ সেঞ্চুরির এই যোগদানের কান্ডারী হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্যরা এদিন বিজেপিতে যোগদানের পর আগামীকাল থেকেই দলের হয়ে মাঠে নেমে পড়বেন বলে ঘোষণা করতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। পাশাপাশি তিনি এদিন তার প্রাক্তন দল অর্থাৎ শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুংকার ছুঁড়ে দেন। কিন্তু এই সকল হুংকারকে তোয়াক্কা না করে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়ে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার কথাই বীরভূমে তো কোনো প্রভাবই পড়বে না।

শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের উপর প্রভাব নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি জানান, “আপনি কি দেখতে পেলেন কোন ইফেক্ট পড়লো!” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, “আমি নিজে বীরভূম জেলায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার বিজেপি মানুষকে তৃণমূলে যোগদান করেছি। তাই কোনো প্রভাবই পড়বে না।”

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে চরম জল্পনা ঠিক সেইসময়ও বীরভূমে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ‘দাদার অনুগামী’ পোস্টার লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়। আর এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে রামপুরহাটে জরুরী বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায়ের সাথে। আর একই রকমভাবে জরুরি ঘোষণার ভিত্তিতে শনিবার অনুব্রত মণ্ডল দুবরাজপুরে তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে একটি বৈঠক করলেন।

যদিও এই বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমার ব্লক প্রেসিডেন্ট, আমার টাউন প্রেসিডেন্ট, অল টাউনের মেম্বার, অল কাউন্সিলর, সবাইকে নিয়ে বসাটা তো ভালো জিনিস। কালচার করা, আলোচনা করা, দলের স্বার্থে আলোচনা হচ্ছে।”