‘CISF চাই না’, দেওয়াল লিখন বিশ্বভারতীতে

অমরনাথ দত্ত : নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বিশ্বভারতীতে CISF চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিশ্বভারতী চত্ত্বর৷ প্রশ্ন উঠেছে, নিরাপত্তার জন্য CISF মোতায়েনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে। এই অর্থ আসবে কোন খাত থেকে, কোন অধিকারে দেবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ? অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধা সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

যদিও বিশ্বভারতী পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে বিশ্বভারতীতে যে সমস্ত নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে তারা সকলেই তৃণমূল দ্বারা পরিচালিত। এমনকী বকেয়া টাকার দাবিতে ১৮ দিন ধরে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অবস্থান করেছিল কর্মীসভা। পরে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখায় কর্মীসভার একাংশ। অভিযোগ ওঠে, সেই সময় নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের আটকায়নি৷ এই ঘটনার পর ৫ জন নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই বিশ্বভারতীর নিরাপত্তার জন্য CISF চেয়ে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

জানা গিয়েছে, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে বিশ্বভারতীর চিঠি বিবেচনা করার জন্য CISF-এর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এরপরই আধা সেনা বাহিনীর পিছনে যে বিপুল খরচের ইস্যু, তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় তীব্র নিন্দা শুরু হয়৷ এমনকি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধা সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পথে নামার জন্যও সোশাল মিডিয়াায় আবেদন জানিয়েছে আশ্রমিক, পড়ুয়া, প্রাক্তনীদের একাংশ। আবার ছাত্র সংগঠন এসএফআই বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করে ডাক দিয়েছে আন্দোলনের৷ বিশ্বভারতীর বিভিন্ন দেওয়ালে পড়েছে পোস্টার, হয়েছে দেওয়াল লিখন।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে মুক্তধারা আঙ্গিকে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন। সেই বিশ্ববিদ্যালয় আধা সেনা নিয়োজিত হলে বন্দুকের আগার সামনে সেই মুক্তধারা বজায় থাকবে না।