Kanchrapara Workshop Gate: ট্রেন দাঁড়ালেও নেই স্টেশন মাস্টার, নেই টিকিট কাউন্টার! বাংলার বুকেই রয়েছে পরিচিত এক স্টেশন

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবা (Indian Railways) সম্পর্কে ভারতীয় নাগরিকরা জানেন না এমন কিছু নয়। কেননা প্রতিদিন রেল পরিষেবার উপর ভর করে প্রায় দু’কোটি মানুষ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরী যে সকল বিষয় তা হল রেললাইন, ট্রেন, স্টেশন মাস্টার, টিকিট কাউন্টার ইত্যাদি। এই সকল মাধ্যম ছাড়া রেল পরিষেবা একপ্রকার অচল। তবে এরই মধ্যে বাংলার বুকে এমন একটি স্টেশন রয়েছে যেখানে ট্রেন দাঁড়ালেও নেই কোন টিকিট কাউন্টার, নেই কোন স্টেশন মাস্টার।

Advertisements

বাংলার বুকে থাকা যে রেল স্টেশনটির কথা বলা হচ্ছে সেটি একসময় গোটা ভারতের কাছেই বেশ পরিচিত ছিল। এখনো ওই স্টেশনের পাশ দিয়ে যখন ট্রেন দৌড়ে যায় তখন ট্রেনের যাত্রীরা দেখতে পান ব্রিটিশ আমলের বিভিন্ন স্থাপত্য। আর এসবের মাঝ যদি এই দ্রুত গতিতে ছুটে চলে ট্রেন। যে স্টেশনটির কথা বলা হচ্ছে সেটি আবার কলকাতা থেকে কয়েক ঘন্টা দূরত্বের রাস্তায় অবস্থিত।

Advertisements

টিকিট কাউন্টার অথবা স্টেশন মাস্টার না থাকা ওই রেলস্টেশনটি পড়ে নৈহাটি থেকে রানাঘাট রুটে। এই রুটে ট্রেনে চড়ে যাওয়ার সময় হালিশহর স্টেশন পার করার পরই দেখা যাবে, রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্রিটিশ আমলের সাহেবদের এসব বিল্ডিং। আর সেইসবের মধ্যেই আচমকা পেরিয়ে যাবে একটি রেলস্টেশন। যে রেলস্টেশনটির নাম হল কাঁচড়াপাড়া কারখানা গেট (Kanchrapara Workshop Gate)। ১৮৬৩ সালে ব্রিটিশ আমলে এখানেই ব্রিটিশরা তৈরি করেছিলেন একটি রেলের ওয়ার্কশপ। ইতিহাস বলছে যে সময় এখানে ব্রিটিশরা ওয়ার্কশপ তৈরি করেছিলেন সেই সময় জায়গাটি বিজপুর নামে পরিচিত ছিল।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Singabad Railway Station: সিঙ্গাবাদ বাংলার একমাত্র স্টেশন, যার রয়েছে বড় ঐতিহ্য, জুড়ে রয়েছে এক অনবদ্য গুরুত্ব

১ লক্ষ ৩২ হাজার বর্গমিটার জায়গার উপর তৈরি হওয়া এই ওয়ার্কশপের খ্যাতি একসময় দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রচুর কর্মীরা এই ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। তবে পরবর্তীতে এই ওয়ার্কশপ ধীরে ধীরে নিজের খ্যাতি হারিয়ে ফেলে। স্বাভাবিকভাবেই ধীরে ধীরে এই ওয়ার্কশপে কর্মীদের সংখ্যা কমতে থাকে। একসময় এখানে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে টেকনিক্যাল পড়ুয়ারা ট্রেনিং নিতে আসতেন। একসময় এখানে লোকোশপ, ক্যারেজ, ওয়াগন শপ, বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের কাজ হতো। তবে এখন সেসব অতীত এবং এখন এখানে কেবলমাত্র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনের কাজ হয়।

কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপের ঐতিহ্য, গুরুত্ব কমে যাওয়ার কারণে কর্মী সংখ্যা কমে গেলেও আজও কিন্তু কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপ গেট রেলস্টেশনে দুটি লোকাল ট্রেন স্টপেজ দিয়ে থাকে। একটি শিয়ালদা থেকে কল্যাণী সীমান্ত যাওয়ার পথে এবং অন্যটি কল্যাণী সীমান্ত থেকে শিয়ালদা যাওয়ার পথে। এই দুটি লোকাল ট্রেন অফিস টাইমে স্টপেজ দেয়। স্টেশনেই না আছে কোন টিকিট কাউন্টার, না আছে কোন স্টেশন মাস্টার, না আছে টাইম টেবিল। আর এইভাবেই দেড়শো বছরের বেশি সময় ধরে এই রেলস্টেশন পরিষেবা দিয়ে আসছে।

Advertisements