নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণে ছেয়ে গেছে গোটা দেশ, বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। প্রতিদিন এরাজ্যে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর এমত অবস্থায় চলতি বছর দুর্গাপূজায় সংক্রমণ বাড়বে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই আশঙ্কা থেকেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট দর্শকশূন্য পুজা মন্ডপ রাখার পাশাপাশি ৫টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিক জারি করলো।
১) সমস্ত পুজো মণ্ডপের সামনে থাকবে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড। প্রতিটি পূজা মণ্ডপকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে পরিগণিত করতে হবে।
২) পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন ১৫ থেকে ২৫ জন উদ্যোক্তা। এই সকল উদ্যোক্তাদের নাম আগেই জমা দিতে হবে।
৩) ছোট প্যান্ডেল থেকে ৫ মিটার এবং বড় প্যান্ডেল থেকে ১০ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। প্যান্ডেলের এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দিতে হবে।
৪) যেকোনো পুজো মণ্ডপের ভার্চুয়াল কভারেজ করা যেতে পারে। সাধারণ দর্শনার্থীরা ভার্চুয়ালের মাধ্যমে মন্ডপ দর্শন করবেন।
৫) প্রত্যেক জায়গায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য সচেতনতা অভিযান চালাতে হবে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ। এমতো অবস্থায় বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যখন রাজ্য এবং দেশের মানুষ পার হচ্ছেন সেসময় পুজো হোক কিন্তু উৎসব নয় এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রাক্তন এক কর্মী অজয় কুমার দে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন হাইকোর্টের এই সকল নির্দেশিকা ও নিষেধাজ্ঞা।