নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দিক দিয়ে উন্নতি সাধন করা হচ্ছে। বিশ্বের চতুর্থ রেল নেটওয়ার্ক হিসাবে এখন ভারতীয় রেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দেশের মানুষদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবা গণপরিবহনের মেরুদন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রেলের তরফ থেকে দেশে নতুন নতুন ট্রেন আনা হচ্ছে, যাতে করে বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের আরও সুবিধা দেওয়া যায়।
ভারতীয় রেলের তরফ থেকে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল দেশে হাইড্রোজেন ট্রেন (Hydrogen Train) চালানো হবে। খুব তাড়াতাড়ি দেশে হাইড্রোজেন ট্রেন চালানো হবে হলেও জানানো হয়েছে রেলের তরফ থেকে। মূলত দেশে যে সকল হেরিটেজ রুট রয়েছে সেই সকল হেরিটেজ রুটগুলিতে দূষণ কমানোর জন্য এই ধরণের ৩৫টি ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দূষণ ঠেকাতে এই ট্রেনগুলি ডিজেল, ইলেকট্রিক অথবা বাষ্পের পরিবর্তে হাইড্রোজেন জ্বালানিতে চলবে।
২০২৩ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকেই দেশে প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন চালানো হবে বলে শোনা যাচ্ছিল। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছিল, দেশের প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন চলতে পারে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের আওতায় এই ট্রেন চালানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে রীতিমত কপালপোড়া অবস্থা বাংলার। কেননা দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে নয়, শোনা যাচ্ছে দেশের প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন চলবে নর্দান রেলওয়েতে। রেলের তরফ থেকে এমনটাই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বাজেটে দার্জিলিংয়ে প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনার কথা জানালেও এখন তা হরিয়ানায় চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, এক একটি হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরি করার জন্য খরচ হবে ৮০ কোটি টাকা। অন্যদিকে হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর পরিকাঠামো তৈরি করার জন্য খরচ ৭০ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর মূল লক্ষ্য হলো পরিবেশবান্ধব ট্রেন চালু করা।