Justice Abhijit Gangopadhyay: শুধু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নন, এই ৩ বিচারপতিও বেছে নিয়েছিলেন রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিচারপতি হিসাবে কাজ করার কথা থাকলেও রবিবার আচমকা ঝড় তুলে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মাঝে একদিন আর তারপরেই মঙ্গলবার তিনি ইস্তাফা দেবেন বলে জানিয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে তার এইভাবে ইস্তফা বিচারপতি পদ ছেড়ে সরাসরি তিনি রাজনৈতিক আঙিনায় পা রাখবেন বলেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

শুধু জল্পনা নয়, এরই মধ্যে বিভিন্ন মহলে নানান কথা শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে মঙ্গলবার ইস্তাফা দেওয়ার পর তিনি নাকি বুধবার বা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। শুধু তাই নয়, এছাড়াও আরও বেশ কিছু জল্পনা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে ছড়াতে শুরু করেছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, তিনি নাকি তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থীও হবেন। তবে এই সমস্ত জল্পনা যদি সত্যিও হয় তাহলে বলতে হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একা নন, এর আগেও একইভাবে তিনজন বিচারপতি পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে রাজনৈতিক আঙ্গিনায় পা রেখেছিলেন।

১) এই তালিকায় প্রথমেই যার নাম আসে তিনি হলেন বাহারুল ইসলাম। তিনি প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন এবং আইনজীবি থাকাকালী নিয়ে ১৯৫৬ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ১৯৬২ এবং ১৯৬৮ সালের তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন। তবে ১৯৭২ সালের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে তিনি তৎকালীন অসম ও নাগাল্যান্ড হাইকোর্টের বিচারপতি হন। এরপর ওই আদালতেরই তিনি প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে তিনি পদত্যাগ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৮৩ সালের তিনি বিচারপতির পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে অসমের বরপেটা থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে অসমের ভোট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তাকে পুনরায় রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন 👉 ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন থেকে ধেড়ে ইঁদুর’, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই ১০টি ডায়লগ ভোলা যাবে না

২) এই তালিকায় আরও একজন বিচারপতি যিনি হলেন কে এস হেগড়ে। কে এস হেগড়ে ১৯৫২ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মহিশুরের বিচারপতি হন। এরপর ১৯৬৬ সালে নবগঠিত দিল্লি হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন তিনি। পরে আবার ১৯৬৭ সালে তিনি সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হয়েছিলেন। তবে ১৯৭৩ সালে প্রধান বিচারপতি পদের জন্য যে তিনজনের নাম বাতিল করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী সেই তিনজনের মধ্যে ছিলেন কে এস হেগড়ে। ১৯৭৩ সালেই তিনি বিচারপতির পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে ফের রাজনীতিতে যোগ দেন। এরপর ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির টিকিটে ব্যাঙ্গালোর দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে তিনি সাংসদ হয়েছিলেন। পরে তিনি লোকসভার অধ্যক্ষ হয়েছিলেন।

৩) সুভাষচন্দ্র রাঠোর ছিলেন কর্নাটকের গদগ জেএমএফ আদালতের বিচারপতি। তাকে একেবারে তরুণ মুখ হিসাবেই ধরা যেতে পারে। কেননা তার বয়স এখন মাত্র ৪১ বছর। ২০২৩ সালে তিনি বিচারবিভাগীয় পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি চিত্তরপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। জেডি (এস) প্রার্থী হিসেবে তাকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছিল।