Now you can go to Konark Surya Temple from Puri by train: ভারতের পরিবহন ব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রেল। প্রায় ২০০ বছর ধরে নিজেকে সাধারণ মানুষ তথা ভারতবাসীর সেবায় নিযুক্ত করে রেখেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। শুধুমাত্র সহজে যাতাযাতা করা যায় বা কম খরচের জন্য নয়, অনেক দূরের পথ কোন রকম একঘেয়েমি ছাড়াই পরিবেশের অপরূপ শোভা দেখতে দেখতে পার করে দেওয়া যায় বলেও সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রেল পরিষেবা। আর তাই সাধারণ মানুষের কাছে এই পরিষেবাটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে ভারতীয় রেল বিভাগ।
নতুন রেলপথ তৈরির জন্য অনুমোদন ও বেশ কিছু টাকা অনুদান দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারা পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি সকলকে চমকে দিয়ে রেল পরিষেবা সংক্রান্ত এমনই একটি বড় ঘোষণা করেছেন ভারতের বর্তমান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মহাশয়। উড়িষ্যার বিখ্যাত দুটি তীর্থস্থান যথা – পুরীর জগন্নাথ মন্দির ও কোনার্কের সূর্য মন্দিরের (Konark Surya Temple) মধ্যবর্তী স্থানে তৈরি হবে এই নতুন রেলপথ।
তিনি জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় সরকার পুরীর জগন্নাথ মন্দির ও কোনার্কের সূর্য মন্দিরের (Konark Surya Temple) মধ্যবর্তী 32 কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রেল পরিষেবা চালু করার অনুমোদন দিয়েছে। পুরী ও কোণার্কের মন্দির অব্দি রেল পরিষেবা চালু করার দাবি অনেক দিন ধরেই সরকারের কাছে আসছিল শেষমেষ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই অনুমোদন দিয়েছেন। রেলমন্ত্রী আরো বলেন যে আধ্যাত্মিক, ঐতিহ্য ও উপকূলীয় পর্যটনের করিডোর হিসাবে প্রকাশ পেতে চাইছে ভারতীয় রেল দপ্তর।
আরও পড়ুন ? Puri Jagannath Mandir: পুরীর মন্দিরে অ-হিন্দু থেকে বিদেশিরা ঢুকতে পান না, কেন এমন রীতি
৩২ কিলোমিটার ব্যাপী এই রেল পথ পাতার জন্য ৪৯২ কোটি টাকা ধার্য করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেলমন্ত্রী জানান যে এই লাইনে একটি ভিস্তাডোম ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল দপ্তর। এটি একটি অল ওয়েদার গ্লাস সিলিং এসি ট্রেন। যাতে ট্রেনের ভিতর থেকেই বাইরের সম্পূর্ণ শোভা দেখতে পায় সাধারণ মানুষ। প্রকৃতির শোভা দেখার পাশাপাশি অগমেন্টের রিয়ালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রযুক্তি দুটির মাধ্যমে পুরী ও কোণার্কের মন্দির (Konark Surya Temple) সম্পর্কিত সংস্কৃতির এক ঝলক দেখতে পাবেন ট্রেনের ভিতরে বসেই।
ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রকল্পের নকশা বানানোর কাজ প্রায় শেষ জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হলেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। এছাড়াও এই রেলপথের মাঝে স্পেশাল তিন-চারটি হাব তৈরি করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। উড়িষ্যার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরবে এই হাবগুলি।