নিজস্ব প্রতিবেদন : অভিনেত্রী তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানকে নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। মূলত তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এই তোলপাড়। তবে প্রথম দিকে অভিনেত্রী এনিয়ে একেবারে নিশ্চুপ থাকলেও সাত দিন পর তিনি তার মুখ খোলেন এবং মুখ খুলতেই একাধিক অভিযোগ আনেন নিখিল জৈন-এর বিরুদ্ধে।
তার যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, তার সাথে নিখিলের বিয়ে হয়নি, তিনি নিখিলের সাথে সহবাস করতেন। সুতরাং তাদের ডিভোর্সের কোন প্রশ্নই আসে না। এর পাশাপাশি নুসরত নিখিলের দিকে আঙুল তুলেছেন, তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এখনো নিখিল টাকা তুলে যাচ্ছেন। এমনকি নুসরত এটাও অভিযোগ করেছেন, তার পোশাক-আশাক এবং গয়না এখনো নিখিলের কব্জায়। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই স্বাভাবিকভাবেই নেটিজেনদের মধ্যে কৌতূহল জন্মেছে, কত টাকার মালিক নুসরত জাহান।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের নুসরত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হন এবং জয়ী হয়ে সাংসদ হন। সেই সময় তিনি তার মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় নিজের সম্পত্তির হিসাব দিয়েছিলেন হলফনামায়। আর সেই হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে নুসরত জাহান কত টাকার মালিক।
২০১৯ সালের হলফনামায় যে হিসাব নুসরত তুলে ধরেছিলেন তাতে তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ পর্যন্ত যথাক্রমে তিনি আয় করেছেন ২১,৯৮,৩১৩ টাকা, ৯,৪৮,০২৫ টাকা, ২০,২০,৪৮৬ টাকা, ৩৯,২৫,৫৪৬ টাকা এবং ২৫,৬৭,১২৫ টাকা।
ব্যাঙ্ক, গহনা, গাড়ি, সেভিংস ইত্যাদি সহ তার মোট সম্পত্তি ছিল ৯০,৮৮,৩৯১.৩০ টাকা। যার মধ্যে ছিল ১২ লক্ষ টাকার গয়না, দুটি বিলাসবহুল গাড়ি যথাক্রমে ৭,৫০,০০০ টাকা এবং ২৮ লক্ষ টাকা, বাকি নগদ এবং ইনসিওরেন্স ও সেভিংস।
এছাড়াও ২০২৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী তার রয়েছে কলকাতায় বাসযোগ্য বাড়ি, যা কেনার সময় মূল্য ছিল ১ কোটি ৭৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৬৪ টাকা। এই বাড়িটির ২০১৯ সালের আনুমানিক বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছিল ২ কোটি টাকা। এছাড়া তাঁর নামে আর কোনো চাষযোগ্য অথবা অচাষযোগ্য জমি নেই বলেই তিনি হলফনামায় জানিয়েছিলেন।
তবে এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি পাশাপাশি তার মাথায় রয়েছে কোটি টাকার ঋণও। হাউজ লোন হিসাবে রয়েছে ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৮৪.২৭ টাকা। এছাড়াও গাড়ির লোন হিসাবে তার রয়েছে ১৯ লক্ষ ২ হাজার ২৩.৯০ টাকার ঋণ। অর্থাৎ তার মোট ঋণের পরিমাণ হল ১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৬০৮.১৭ টাকা।
২০১৯ সালের নুসরত জাহানের নির্বাচনী মনোনয়নপত্র হলফনামা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে তিনি সেই সময় কয়েক কোটি টাকার মালিক যেমন ছিলেন ঠিক তেমনই তার মাথায় ছিল কোটি টাকার ঋণের বোঝাও। তবে দু’বছর পর অর্থাৎ ২০২১ সালে তার সম্পত্তির পরিমাণ কতটা বেড়েছে বা কমেছে এবং ঋণের পরিমাণও কতটা বেড়েছে না কমেছে তা জানা যায়নি।