The Nutrients properties of black potatoes will surprise you too: আলু এমন একটি সবজি যা বাঙালির রান্নাঘরে অপরিহার্য। আলু ছাড়া তরকারি কিংবা লোভনীয় বিরিয়ানি কোনোটাই সম্পূর্ণ হয়না। আলু হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি যা সব রান্নাতেই কাজে লাগে। শুধু বাঙালিরাই যে আলু ভালোবাসে তা নয় অবাঙালিরাও আলু দিয়ে বিভিন্ন স্বাদের পদ তৈরি করতে পারে। আপনি এই জীবনে কত ধরনের আলু দেখেছেন? লাল কিংবা সাদা রঙের আলু নিশ্চয়ই আপনি দেখেছেন কিন্তু কালো রঙের আলু (Black Potatoes) কি দেখেছেন?
ভাবছেন এও কি সম্ভব? নিশ্চয়ই আকাশ থেকে পড়েছেন ভাবছেন কালো আলুও আদৌ সত্যি নাকি স্বপ্ন? একটুও বাড়িয়ে বলছিনা, সব যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি বাজারে আসতে চলেছে এই কালো রংয়ের আলু (Black Potatoes)। আসলে এর পিছনের আসল কারণ হলো, কৃষিতে নতুন ফসলের রঙ এবং রূপ পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিহারের গয়া জেলার কৃষকরা কালো আলুর চাষ করছেন। স্বাস্থ্যের পক্ষে এই আলু খুবই উপকারী কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
অদ্ভুত রঙের এই আলু চাষ করে সকলকে অবাক করে দিয়েছেন বিহারের গয়া জেলার কৃষক আশিস কুমার। আসলে তিনি এই চাষের প্রচার শুরু করেন ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে। সূত্র মারফত জানা গেছে, ইতিমধ্যে তিনি বিভিন্ন জায়গায় এই চাষ শুরু করে দিয়েছেন। তিনি জানান মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন কৃষকদের দাবির ভিত্তিতে তিনি বীজ পাঠিয়েছেন, এরফলে আগামী দিনে তাদের রাজ্যে আলু চাষ করতে পারবে সহজেই। এই কালো আলুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে। সেই সঙ্গে এতে চিনির পরিমাণও কম থাকে। স্বাস্থ্যের পক্ষে এই আলু খুবই উপকারী, এছাড়া কালো আলুকে (Black Potatoes) বেগুনি আলুও বলা হয়।
২০২২ সালে প্রথমবার আমেরিকা থেকে আশিস কুমার সিং কালো আলুর (Black Potatoes) বীজ আমদানি করেছিলেন। সেইসময় পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ১৪ কেজি বীজ তিনি সংগ্রহ করেছিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে এটি চাষও করেছিলেন। আশ্চর্যজনকভাবে পরীক্ষাটি সফল হয় এবং ১০০০ কেজিরও বেশি আলু উত্পাদিত হয়েছিল। চাষের সফলতার পর, তিনি পরবর্তী বছরের জন্য বীজগুলি কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করেছিলেন।
এইবছর উল্লেখযোগ্যভাবে এই রঙের আলুর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কালো আলুর ফসল অনেক কাটায় রোপণ করা হয়েছে। আশিস গত বছর প্রায় এক হাজার কেজি কালো আলু উৎপাদন করেছিলেন। এই রঙের আলু তিনি বাজারে বিক্রি করেছেন ২০০ থেকে ৩০০ কেজি দরে। এই আলুর দাম কখনো কখনো বাজার দর হিসেবে ৫০০ টাকাও ছাড়িয়ে যায়।