The old man of Halishahar proved that AC is unnecessary if there is this tree: চলতি বছরে তীব্র গরমে মানুষের নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল। কলকাতার সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপরে। মাঝেমধ্যে ঠান্ডা প্রদানকারী যন্ত্রটিও অকেজ হয়ে যাচ্ছিল লোডশেডিং এর চাপে। এই তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল। হালিশহরের ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ নিজের সাথে এমন কি গাছ লাগালেন যাতে তার বাড়ি হয়ে গেল এসির মতই ঠান্ডা (No need to AC)।
এসি ছাড়া এই গরমে আদৌ কি থাকা সম্ভব (No need to AC) ! সত্যি কি গাছ পারবে বাড়ির তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামাতে? উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী সবাইকে চমকে দিয়েছেন এই ন্যাচারাল কুলিং প্রসেস তৈরি করে। এই কারণেই তার বাড়ি ‘আঙুর বাড়ি’ হিসেবেই পরিচিত। নিজের বাড়ির ছাদে আঙুর চাষ করেন তিনি। যার ফলে আঙ্গুরও খাওয়া হয় এবং বাড়িও ঠান্ডা থাকে।
আশি বছর বয়সী বৃদ্ধ অরুণ কুমার নাথ আসলে অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী। তিনি ছিলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা ডিভিশনে ক্যারেজ বিভাগের কর্মী। সেখানে কোয়ার্টারে থাকাকালীন ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য কালো আঙ্গুল লাগিয়েছিলেন তিনি (No need to AC)। ২০০০ সালে তিনি অবসর নিয়েছিলেন কিন্তু স্বভাব তার মোটেই পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে তার নিজের বাড়িতে এমনকি বাড়ির ছাদেও তিনি লাগিয়েছেন এই কালো আঙ্গুর। কালো আঙ্গুরের গাছগুলো এখন তার বাড়ির ছাতার মত।
অরুণবাবুর বাড়ির আঙুর গাছগুলোতে এখন 40 থেকে 50 কিলো আঙ্গুর হয়। এই গাছ লাগিয়ে তার যেমন আঙুর খাওয়া হচ্ছে তেমন বাড়িকেও ঠান্ডা রাখতে পারছেন একেবারে এসির মত। তার এই অদ্ভুত কেরামতিতে এলাকাবাসীরা খুব খুশি। শুধুমাত্র আঙুর নয়, আঙুর থেকে রস বার করে সিরাপ বানিয়ে বোতলে ভরে রাখেন নাথ পরিবার যা সারা বছর খাওয়া যায়। এই আঙ্গুর গাছের কারনে বিদ্যুৎ না থাকলেও তার বাড়ি থাকে পুরো ঠান্ডা (No need to AC)।
এর আসল কারণ হলো আঙ্গুর গাছ লতানো হয়, যা, বাড়িটাকে পুরোটাই ঢেকে রেখেছে। ফলে রোদ তাপ বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে না। সেই কারণে নাথবাড়ি এত ঠান্ডা। প্রতিবেশীরা শুধুমাত্র আঙুর খেয়ে নয় এই দৃশ্য দেখেও সত্যি মুগ্ধ। তীব্র গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রাকৃতিক উপায় হলো একমাত্র ভরসা। সেটাই প্রমাণ করে দিলেন হালিশহরের এই বৃদ্ধ।