এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ! উদ্বেগের কারণ এই ৬ জেলা

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের দোরগোড়ায় রাজ্য। ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত মিলেছে কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে যে কারণে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।

আশঙ্কা করা হচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যেই সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছে যেতে পারে। লাগামছাড়া হতে পারে দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দপ্তরের আশঙ্কা দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছে যেতে পারে ৩০ থেকে ৩৫ হাজারে। নমুনা পরীক্ষার হারেও বিপদবার্তা মিলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে। বেসরকারি ল্যাবগুলিতে ইতিমধ্যে অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা।

এমন পরিস্থিতিতে গা ছাড়া মনোভাব দেখানোর মত কোন অবস্থা নেই বলেই মনে করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে এটাও মনে রাখতে হবে এমন পরিস্থিতিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লে চলবে না। ভীতসন্ত্রস্থ হওয়ার পরিবর্তে মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

রাজ্যে প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় লক্ষ্য করা গিয়েছিল দৈনিক সংক্রমণ যখন চূড়ায় উঠেছিল সেই সময় তা ছিল দৈনিক ৪ হাজার। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় যখন সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছে যায় তখন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০ থেকে ২৫ হাজার। তবে তৃতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রে আক্রান্তের এই সংখ্যাটা অনেক বেশি হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। পিক হতে পারে দৈনিক ৩০ থেকে ৩৫ হাজার।

আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গিয়েছে দিন কয়েকের করোনা রিপোর্টে। যেখানে স্পষ্ট সংক্রমণ বৃদ্ধি লম্বা লম্বা লাফ দিতে শুরু করেছে। একদিন ৭০০ থাকলে পর দিন তা হাজার পের করে দিয়েছে। আবার গত কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তাতে লক্ষ্য করা গিয়েছে এক দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ২১২৮।

কলকাতায় যখন গোষ্ঠী সংক্রমণ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে সেই সময় আবার রাজ্যের ৬ টি জেলা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সবচেয়ে বেশি। এই ৬ টি জেলা হল বাঁকুড়া, বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, মালদা, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার। কারণ এই জেলাগুলিতে পজিটিভিটি রেট অনেক বেশি থাকলেও নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা অনেক কম। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে আক্রান্ত না হন তার দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে কোভিড টেস্ট করা বাধ্যতামূলক।