শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : ইতিমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে জেরবার সারা দেশ। সম্প্রতি করোনার ভয়ঙ্কর প্রকোপ থেকে কিছুটা সেরে উঠছে দেশ, ঠিক তার মাঝেই আবার নয়া আতঙ্ক এসে হাজির। করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রণ ঘাড়ের কাছে যেন নিশ্বাস ফেলছে। আতঙ্কে রয়েছেন বিজ্ঞানী মহল তথা সারা দেশবাসী।
ওমিক্রনের সন্ত্রাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে বাঁচার জন্য কিছু বিধিনিষেধ ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুনরায় সবাইকে সচেতন হতে হবে, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলার সাথে সাথে মাস্কের ব্যবহারের ওপর আবার জোর দিতে হবে।
এমতাবস্থায় কিছু বিশেষজ্ঞ মহল আবার অন্য কথা বলছেন, তাঁদের মতে নতুন স্ট্রেন হয়তো বিশ্বের কাছে আশীর্বাদ হয়েও দেখা দিতে পারে। যদিও এই মত নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। নতুন প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায় নি। ঠিক কতটা প্রভাবশালী হবে এই নতুন স্ট্রেন তা বিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট দ্বন্দ্ব রয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এটুকু বোঝা গিয়েছে ওমিক্রন অনেক বেশি ছোঁয়াচে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আশা দেখছেন বিশেষজ্ঞমহল। তাঁদের দাবি, নতুন প্রজাতি বিপজ্জনক না হয়ে যদি অধিক ছোঁয়াচে হয় তবে সেক্ষেত্রে তা কার্যকরী হবে। ডেল্টা স্ট্রেনকে সরিয়ে দিয়ে প্রধান সংক্রামক হিসেবে জায়গা করে নেবে এই নতুন স্ট্রেনটি, যা বিজ্ঞানীমহলে খুশির খবর।
বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়ে করোনার যে স্ট্রেনটি দাপট চালাচ্ছে তা হল ডেল্টা। যার প্রভাবে ৯০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত। বর্তমানে ওমিক্রণের আগমনে মার্ক ভ্যানের মতো বিজ্ঞানীরা কিছুটা আশার আলো দেখছেন। যদি এই নতুন প্রজাতির প্রভাবে ডেল্টার প্রভাব হ্রাস পায় তবে করোনার প্রকোপ কমে যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রাপ্ত এই নয়া স্ট্রেন এখন চোখ রাঙাচ্ছে সারা বিশ্বকে। ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ এর তকমা লাভ করেছে ইতিমধ্যেই নতুন প্রজাতিটি। নতুন স্ট্রেনের জেরে বহু দেশের পক্ষ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই সঙ্গে ব্রিটেন, বেলজিয়ামের ক্ষেত্রেও এই স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষ থেকেও বহু সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
এখন দেখার বিষয়, শাপে বর হয় নতুন স্ট্রেন নাকি পুনরায় তার ভয়াল রূপে দেশবাসীকে জেরবার করে। ভবিষ্যত বলবে এই সব প্রশ্নের উত্তর।