লকডাউনে বন্ধ ডাক্তারের চেম্বার, রোগীদের সুবিধার্থে ফোনে মিলবে চিকিৎসা, রইলো নম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। আর লকডাউন জারি হওয়া ইতিমধ্যেই এক মাস পূর্ণ করেছে। লকডাউন চলাকালীন অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান বন্ধ। ঠিক তেমনই বন্ধ গন যোগাযোগ মাধ্যম। অন্যদিকে আবার এমত অবস্থায় বেশিরভাগ চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বারও বন্ধ রয়েছে। মোটের উপর একদিকে ডাক্তারদের চেম্বার বন্ধ, অন্যদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যে কারণে সমস্যায় পড়েছেন অজস্র মানুষ। আর এই সকল সমস্যা থেকে রেহাই দিতে এগিয়ে এসেছেন বেশ কিছু চিকিৎসক।

বীরভূমের সিউড়ি শহরের সিউড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অরণ্য দত্ত নিজ উদ্যোগে জানিয়েছেন জরুরী ভিত্তিতে সমস্যায় পড়লে তাকে ফোন করে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। তিনি দিন-রাত ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে বিনামূল্যে এই পরিষেবা যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তিনি তার সাথে যোগাযোগের নম্বর হিসাবে একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন। যেটি হল ৯৬০৯৫০২৪৪৫

অন্যদিকে একই ভাবে বর্ধমান পৌরসভার উদ্যোগেও চালু হয়েছে বিনামূল্যে অনলাইন চিকিৎসা পরিষেবা।সেখানে পরিষেবা পাওয়ার জন্য সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত একজন করে চিকিৎসক ও তাদের ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই সকল ফোন নম্বরগুলিতে সরাসরি রোগীরা যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানালে পরামর্শ দেবেন চিকিৎসকরা। বর্ধমান পৌরসভার তরফ থেকে যে বন্দোবস্ত করা হয়েছে অনলাইন বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য সেখানে রয়েছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ, চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ ও মেডিসিনের চিকিৎসকরা।

বর্ধমানের চিকিৎসকদের যোগাযোগ নম্বর

ডাক্তার বিজিত কুমার চ্যাটার্জী – (স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ) – ৭০০১৬৭৫৪১২ (সোমবার বিকাল ৪ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত)

ডাক্তার গনেশ চন্দ্র গায়েন – (নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ) – ৮২৫০৯৭৩৮৪৩ (মঙ্গলবার বিকাল ৩ টে থেকে ৪ টে পর্যন্ত)

ডাক্তার দেবযানি বন্দ্যোপাধ্যায় (মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ) – ৮৯০০৫০৫৩৩৪ (বুধবার বিকেল ৪ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত)

ডাক্তার অরুণ ভট্টাচার্য (চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ) – ৯৪৩৪০৪১৯৬৯ (বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত)।

ডাক্তার সুমিত ব্যানার্জি (চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ) – ৯৪৩৪১৯৬৯৯৮ (শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত)

ডাক্তার চন্দ্র জিৎ কুন্ডু (মেডিসিন) – ৯৬৩৫৮৮৫১৩৮ (শনিবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত)।

একইভাবে এরকম পরিষেবা চালু করা হয়েছে মেদিনীপুর পৌরসভাতেও। এসব সকল ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা রোগীদের থেকে তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন এবং তাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রয়োজন সাপেক্ষে ওষুধ লিখে প্রেসক্রিপশন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।