আটকে যাবে পোস্ট অফিসে জমানো টাকা! ঝামেলায় এড়াতে অক্টোবরের আগেই সেড়ে ফেলুন এই কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিনের উপার্জন আর প্রতিদিনের খরচের বাইরেও প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন থাকে কোন না কোন ক্ষেত্রে সঞ্চয়ের। যে কারণে বিনিয়োগকারী ব্যক্তিদের অধিকাংশকেই ব্যাঙ্ক (Bank), পোস্ট অফিসের (Post Office) বিভিন্ন স্কিমে টাকা জমা করতে দেখা যায়। আবার বেশি লাভের জন্য সরকারি বিভিন্ন স্কিম যেমন স্মল সেভিংস স্কিমের (Small Savings Scheme) দিকেই ঝোঁকেন অধিকাংশ মানুষ।

স্মল সেভিংস স্কিমের আওতায় যে সকল জায়গা রয়েছে তার মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীকেই আবার পোস্ট অফিসে টাকা জমা করতে দেখা যায়। কিন্তু ভাবুন তো, কষ্ট করে রোজ আপনি টাকা জমা করছেন আর যখন দরকার তখন সেই টাকা যদি তুলতে না পারেন তাহলে কি পরিস্থিতি হবে? হ্যাঁ ঠিকই, কেননা এমন একটি নিয়ম এবার জারি করা হয়েছে যে নিয়ম অনুযায়ী একটি ছোট্ট কাজ না করলেই আপনার জমানো টাকা আটকে যেতে পারে।

ছোট্ট ওই কাজটি করার জন্য হাতে রয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর কিন্তু এমন নানান ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন বিনিয়োগকারীরা। আসলে এমনটা হতে চলেছে মূলত চলতি বছর এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে কিছু নিয়মে পরিবর্তন আনার ফলে। আর এই নিয়ম না মানলেই আপনার বিভিন্ন স্মল সেভিংস স্কিমে বিনিয়োগ করা টাকা লক হয়ে যেতে পারে।

এই বিষয়টি সেই সকল বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি নজরে রাখতে হবে যারা পিপিএফ, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, পোস্ট অফিস স্কিম, সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমের মত স্কিমে টাকা জমা রাখেন। সুতরাং এই সকল স্কিনে যদি আপনি বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী ছোট্ট কাজটি অবিলম্বে সেরে নিন।

আসলে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এই সকল স্মল সেভিংস স্কিমের মতো ক্ষেত্রে যারা বিনিয়োগ করে থাকেন তাদের কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং কেওয়াইসি হিসাবে প্যান কার্ড ও আধার কার্ড জমা দিতে হবে। এটি কিন্তু একেবারেই বাধ্যতামূলক। যে কারণে যারা অ্যাকাউন্ট খোলার সময় এই সকল নথি দেননি তাদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা জমা দিয়ে সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে হবে।