নিজস্ব প্রতিবেদন : বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে পার্কিং ফি-র (Parking Fee) ক্ষেত্রে নানান পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে বৃদ্ধি করা হচ্ছে পার্কিং ফি। এমনকি পার্কিং ফি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা পৌর নিগম এলাকায় মাসখানেক আগে এক বিচ্ছিরি কান্ড ঘটে যায়। যেখানে দেখা যায় কলকাতা পৌরনিগম পার্কিং ফি বৃদ্ধি করে কয়েকগুণ আর সেই পার্কিং ফি বৃদ্ধি করার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসক দলের একাংশ বেজায় চটে যায়। তৃণমূল মুখপাত্র এই ঘটনা নিয়ে দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে এই পার্কিং ফি বৃদ্ধি করার হয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শেষমেষ বর্ধিত পার্কিং ফি প্রত্যাহার করে নেয় কলকাতা পৌরনিগম।
পার্কিং ফি নিয়ে নতুন কোন ব্যবস্থা নেওয়া মানেই ফি বৃদ্ধি করা তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে এর উল্টো ঘটনা দেখা গেল নিউটাউনে। পার্কিং ফি নিয়ে ‘নিউ টাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (NKDA) দারুণ এক ঘোষণা করলো। যেখানে পার্কিংয়ে গাড়ি বা বাইক রাখলেই টাকা গুনতে হয়, সেই জায়গায় এখানে কোন টাকা দিতে হবে না! বিশ্বাস না হলেও কিন্তু এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
পার্কিং ফি নিয়ে ‘নিউ টাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ পার্কিং নিয়ে নতুন যে ঘোষণা করেছে তাতে তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিউ টাউন এলাকার যে কোন পার্কিং জোনে গাড়ি রাখার ক্ষেত্রে প্রথম ৩০ মিনিট অর্থাৎ আধঘন্টা পার্কিংয়ের জন্য কোন টাকা দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রথম আধ ঘন্টার জন্য পার্কিং জোনে গাড়ি বা মোটরবাইক রাখতে পারবেন চালক বা গাড়ির মালিকরা। আধ ঘন্টা পেরিয়ে গেলে নির্ধারিত হিসাব অনুযায়ী টাকা নেওয়া হবে।
নিউ টাউন এলাকায় পার্কিং জোনে গাড়ি বা মোটরবাইক রাখার ক্ষেত্রে পার্কিং চার্জ হিসাবে ঘন্টা হিসাবে টাকা নেওয়া হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে চারচাকা গাড়ির জন্য প্রতি ঘন্টায় নেওয়া হয় ২০ টাকা এবং মোটরবাইক অর্থাৎ দু’চাকা যানবাহনের জন্য প্রতি ঘন্টায় নেওয়া হয় ১০ টাকা। প্রথম ৩০ মিনিট অর্থাৎ আধঘন্টা পর পার্কিং জোনে গাড়ি রাখার ক্ষেত্রে এই নির্ধারিত টাকা দিতে হবে গাড়ির চালক অথবা মালিকদের।
যত্রতত্র যানবাহন রাখার সংস্কৃতি বন্ধ করার জন্য সল্টলেকের ধাঁচে নিউ টাউন এলাকায় পার্কিং প্লেস তৈরি করা হয়। কিন্তু স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, বাজার ঘাট করতে গেলেও পার্কিং জোনে গাড়ি রেখে বাজার করার ক্ষেত্রে তাদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে যাতে যত্রতত্র গাড়ি রাখার সংস্কৃতি বন্ধ হওয়ায় আবার পার্কিংয়ের জন্য টাকা খরচ কম হয় তাই নতুন এই বন্দোবস্ত গ্রহণ করা হয়েছে।